চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর সংরক্ষিত এলাকা ১ নং নাবিক কলোনি, ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদ ও পতেঙ্গায় নৌবাহিনীর হাসপাতালে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এতে নৌবাহিনীর কর্নেল জাহিদসহ কমপক্ষে ১৫ আহত হয়েছেন। কর্নেল জাহিদ নেভি হাসপাতালের আই স্পেশালিষ্ট। বোমায় আহতদের নৌবাহিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানাগেছে, সেখান থেকে অবিস্ফোরিত অবস্থায় আরও তিনটি গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর একই সময়ে এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে শীর্ষ নিউজকে জানিয়েছেন বোমার আঘাতে আহত কর্নেল জাহিদ।
কর্নেল জাহিদ বলেন, ‘জুমার নামাজের পরপরই বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। কে বা কারা এ বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানি না। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজের পর মুসল্লিরা যখন মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই ইশাঁ খা মসজিদের পাশে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে একই সময়ে পতেঙ্গা নৌবাহিনী হাসপাতাল এবং এক নং নাবিক কলোনী এলাকায় বোমা বিস্ফোরণ হয় বলে বাসিন্দারা জানান।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, নামাজ শুরু হওয়ার পর প্রথম রাকাতেই এই হামলা চালানো হয়। মসজিদে দুশো জনের মতো মুসল্লি নামাজ পড়ছিল। এই ঘটনায় মিজান নামে নৌবাহিনীর একজন ব্যাটম্যানকে আটক করা হয়েছে বলে। পুলিশ বলছে, তৃতীয় গ্রেনেডটি ছোড়ার সময় স্থানীয় মুসল্লিরাই তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
মসজিদটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষ বাহিনী র্যাব ওই এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। সেখানে আলামত সংগ্রহের কাজ চলছে।
পুলিশ বলছে, আটক ওই ব্যক্তি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারের ভুয়া সার্টিফিকেট দেখিয়ে নৌবাহিনীতে চাকরি নিয়েছিলেন।
যে মসজিদটিতে হামলা চালানো হয়েছে সেটি অত্যন্ত সংরক্ষিত একটি এলাকায়। সাধারণ লোকজনের সেখানে প্রবেশাধিকার নেই। সাধারণত কলোনির লোকেরাই সেখানে নামাজ পড়তে যান।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর জড়িতদের খুজে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আবদুল জলিল মন্ডল।