আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার বিডি দাস পিকলুকে প্রধান করে এ তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ১ বছর বয়সী শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করার অভিযোগ সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার এ তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রামের খায়রুল ইসলামের ১ বছর বয়সী শিশুপুত্র রুহুল আমিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। তাকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সে সময় শিশু ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্স আনোয়ারা খাতুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুটির শরীরে পুশ করার জন্য একটি স্যালাইন নিয়ে আসেন। ইতোমধ্যে তার নির্ধারিত ডিউটি টাইম শেষ হয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত নার্স দীপালি রানী শিশুটির শরীরে সেই স্যালাইন পুশ করেন। এতে শিশুটির অবস্থা আরও খারাপ হয়ে পড়ে। বিকেলে শিশুটির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আলমডাঙ্গা শহরের ইয়াসিন ফার্মেসীর ওপরতলায় অবস্থানকারী শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হাবিবুর রহমানের চেম্বারে নেয়া হয়। তার পরামর্শ মতো চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় হারদী হাসপাতালে ফিরে যায়। এ সংক্রান্ত সংবাদ দৈনিক মাথাভাঙ্গায় প্রকাশিত হয়। এ সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাক্তার নুরুন নাহার গতকাল বুধবার হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার বিডি দাস পিকলুকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত টিম গঠন করেছেন। এ তদন্ত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সাইফুল্লাহ মোর্শেদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স মিতালী রানী।