স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের অধিকাংশ পৌরসভা নির্বাচনেই বিএনপির একাধীক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীরও প্রার্থীতা দাখিলের মধ্য দিয়ে যে প্রশ্নটি উঠে এসছে তা হলো, বিএনপির বিদ্রোহী নাকি বিকল্প প্রার্থী? দলের দায়িত্বশীলদের অনেকেরই অভিমত, মনোনীত প্রার্থীর প্রার্থীতা কোনো কারণে বাতিল করা হলে বিকল্প প্রার্থী হিসেবেই অপরজনকে মনোনয়ন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। যেমন শৈলকুপায় স্বামী মনোনীত, স্ত্রী স্বতন্ত্র। শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে তখন তাকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবেই দেখা হবে। তখন তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজনৈতিক প্রতিকূলতায় থাকা বিএনপি পৌর নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের আবর্তে পড়েছে। নির্বাচনে তারা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে কি-না তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ প্রকাশ করছেন দলের নেতারা। তাদের ধারণা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তাদের অনেক যোগ্য প্রার্থী ‘খারিজ’ হয়ে যেতে পারেন। তারপর নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণার মাঠেও হয়রানি-গ্রেফতার-ভয়-ভীতির শিকার হতে পারেন। এসব বিবেচনায় রেখে দলের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের নেতাদেরকে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্তদের পাশাপাশি বিকল্প প্রার্থী মজুত করতে বলা হয়েছিলো। ফলে দলের নেতাদের জন্য কঠিন এই পরিস্থিতির মধ্যে বহু পৌর এলাকায় একের অধিক বিকল্প প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কোনো কোনো স্থানে বিকল্প হিসেবে নয় বিদ্রোহী হিসাবেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। আবার বিকল্প হিসেবে আত্মীয়-স্বজন এবং স্ত্রীরাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কয়েক জায়গায়। স্বামীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে স্ত্রী নির্বাচনে লড়বেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌরসভায় ধানের শীষের মনোনয়নপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা খলিলুর রহমানের পাশাপাশি তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে বিশ্বাস রাখতে পারছি না। তাই আমিও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। এদিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আব্দুল জব্বার মনোনীত হলেও মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী অপর যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রার্থিতা পেশ করেছেন। অন্য পৌরসভাতেও একইভাবে রয়েছে একাধিক প্রার্থী।