স্টাফ রিপোর্টার: বন্ধ্যাত্ব শুধু নারীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শতকরা ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের জন্য পুরুষ দায়ী। উপমহাদেশের প্রখ্যাত বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ গাইনোকলজিস্ট ডা. গৌতম খাস্তগীর রাজধানীতে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, নারীর স্বাস্থ্য নিয়ে তথাকথিত শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে ধোঁয়াশা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে প্রজনন শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে। এ সম্পর্কে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। এটি কোনো অসুখ নয়, বরং প্রকৃতির ধারাবাহিকতা। এর সমাধানসূত্র রয়েছে। দুইদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন চট্টগ্রামের ড. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. অন্নদাচরণ খাস্তগীরের প্রপৌত্র ডা. গৌতম খাস্তগীর।
ভারতের বেঙ্গল ইনফার্লিটি অ্যান্ড রিপ্রডাক্টিভ থেরাপি হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর এই ডাক্তার বন্ধ্যাত্ব বিষয়ক কুসংস্কার এবং ভুল ধারণা কাটানোর সচেতনতামূলক প্রচারণা এবং দিনব্যাপী বন্ধ্যাত্ব বিষয়ক সম্মেলন করতে বাংলাদেশে এসেছেন। রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে ওই সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন তিনি। এতে দেখানো হয়, বন্ধ্যাত্ব নিয়ে জনমানসে ন্যূনতম ৫টি ভুল ধারণা রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী নন, এমন মানুষ বন্ধ্যা হন। কিংবা বন্ধ্যাত্ব কেবল নারীর মাঝে সীমাবদ্ধ। অথবা এটি বয়স্ক দম্পতিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক এবং আরও নানা উপায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির অংশ হতে চান তিনি। এ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বলেন, এ বিষয়ে কেউ তার কাছে চিকিৎসা করতে না এলেই তিনি খুশি হবেন। বরং বাংলাদেশে এ বিষয়ে অনেক ভালো চিকিৎসা রয়েছে। সে চিকিৎসা যেনো সবাই নেন বন্ধ্যাত্ব বিষয়ক চিকিৎসার ভুল ধারণা কাটিয়ে। বক্তব্যে তিনি প্রাথমিক স্বাস্থ্য, সেনিটেশন, পুষ্টি সরবরাহ এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে খাস্তগীর জানান, মোবাইলফোন পকেটে রাখা উচিত নয়। এতে বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বাড়ে। কারণ অণ্ডকোষের তাপমাত্রা মূলত ৩৭ ডিগ্রি প্রয়োজন। কিন্তু মোবাইলফোনের বিকিরণ সেটি ছাড়িয়ে যায়। আজ শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে বন্ধ্যাত্ব বিষয়ে দিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।