পৌরসভা নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোর শর্ত বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার: নির্বাচন পেছানোসহ কয়েকটি শর্তে পৌরসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
তিনি বলেন, নতুন বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থিতা চূড়ান্ত করতে বিএনপির কয়েকদিন সময় লাগবে। এজন্যে নির্বাচন ১৫দিন পিছিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে বিএনপি। সেই সাথে পুনঃতফসিলের দাবি করছে দলটি। একই সাথে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার জন্য কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে নতুন ৫০ লাখ তরুণ ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন। তার তিন দিন আগে অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হওয়ায় নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না। এছাড়া নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা থেকে মনোনয়ন জমা দেয়া পর্যন্ত ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়কে অপ্রতুল মনে করছে বিএনপি। যৌক্তিক কারণে এ সময় বাড়ানো প্রয়োজন বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো ভুঁইফোড় সংগঠনকে কার্ড না দেয়ারও দাবি জানানো হয়। রিপন অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে এক জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। এতে করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সরকারদলীয় ক্যাডাররা হুমকি দিচ্ছেন। অনেক জায়গায় পাহারা বসানো হয়েছে। তাই একাধিক জায়গা থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার বিধান রাখার শর্ত দিয়েছে দলটি। জনমত গঠন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেয়ারও দাবি জানিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন আছে। কমিশনের জনবল থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, এ নিয়ে প্রশ্ন আছে। পৌর এলাকায় সরকারদলীয় এমপি ও নেতাদের অনুরোধে ইউএনও ও ওসি নিয়োগ দেয়া হয়। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর ওসি ও ইউএনওদের রদবদল করতে হবে। এছাড়া সরকার জনগণকে কতোটা তোয়াক্কা করে এই নির্বাচনে তার পরীক্ষা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এমএ হালিম, কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।