স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের হলফনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্রের সাথে কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) সনদের অনুলিপি জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ গত মঙ্গলবার পৌর ভোটের তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, মনোনয়নপত্র দাখিল ও গ্রহণ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ২৩৬ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সহকারী সচিব রাজীব আহসান।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ ২৩৪ পৌরসভায় ভোট হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর। সহকারী সচিব রাজীব আহসান জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্রের সাথে সংযুক্তি হিসেবে প্রার্থীর সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদসহ হলফনামা দিতে হবে।
এছাড়া নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য সম্ভাব্য অর্থের উৎস ও ব্যয় বিবরণী, ১২ ডিজিটের টিআইন সনদের কপি, সম্পদের বিবরণী ও সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের রশিদের কপি দিতে হবে। জামানত জমার কপি এবং প্রার্থীর দলীয় প্রত্যয়নপত্র ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন তালিকা দিতে হবে। ইসির এ কর্মকর্তা জানান, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী মেয়ররা স্বপদে থেকেও ভোট করতে পারবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ভোটে দাঁড়াতে বাধা নেই। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নিয়েও প্রার্থী হওয়া যাবে।
পোস্টার ব্যানার খুলে ফেলার নির্দেশ, পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীদের আগাম প্রচারণায় ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের মধ্যে তুলে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির সহকারী সচিব রাজীব আহসান স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনামূলক চিঠি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২টার আগে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে প্রার্থীদের। এরপরও রিটার্নিং কর্মকর্তা যদি কারো প্রচারসামগ্রী পান, তাহলে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে সেইসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে।