স্টাফ রিপোর্টার: অনুশীলনে আসা বিপিএলের ছয়টি দলের দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের উপস্থিতিতে মিরপুর একাডেমি মাঠ গতকাল শনিবার যেন পরিণত হয়েছিলো ক্রিকেটের মিলনমেলায়। অনুশীলনে ফাঁকেই চলছিলো এক দলের সাথে অন্য দলের ক্রিকেটারদের দেখা-কথা, করমর্দন, আলিঙ্গন; ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ক্ষণিকের আড্ডা। সম্প্রীতির এই আবহ শিগগিরই বদলে যাবে যুদ্ধের দামামায়। উদ্বোধনের নামে নাচ-গান হয়ে গেছে শুক্রবার; আজ রোববার থেকে শুরু বিপিএলের মাঠের লড়াই। গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন করছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও বরিশাল বার্নাস। সকাল ১১টায় অনুশীলনে চলে এলো সিলেট সুপার স্টার্স ও রংপুর রাইডার্স। ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা আর সংবাদকর্মীদের ভিড়ে একাডেমি মাঠে তখন ‘তিল ঠাঁই আর নাহি রে’ অবস্থা। দু পাশের নেটে অনুশীলন করছিলো শুরুতে আসা দু দল। পরে আসা দু দল মাঝের একটু জায়গায় শুরু করল গা গরমের কসরত। পরে দুপুরে অনুশীলনে এলো ঢাকা ডায়নামাইটস ও চিটাগং ভাইকিংসের ক্রিকেটাররাও। আজ রোববার দুপুর ২টায় রংপুর রাইডার্স ও চিটাগং ভাইকিংসের ম্যাচ দিয়ে শুরু বিপিএলের তৃতীয় আসর। সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ঢাকা ডায়নামাইটস। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রতিদিনই হবে দুটি করে ম্যাচ। ঢাকা পর্বের প্রথম ভাগ শেষ হবে ২৭ নভেম্বর। মাঝে দু দিন বিরতি দিয়ে ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর খেলা হবে চট্টগ্রামে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে খেলা হবে বলে আগে জানানো হলেও অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধার কারণে আন্তর্জাতিক ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই হবে খেলা। চট্টগ্রাম পর্ব শেষে আবার দুই দিন বিরতির পর ৬ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ভাগের খেলা শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর ফাইনাল পর্যন্ত।
২০১২ ও ২০১৩ সালে প্রথম দুটি আসরের পর নানা সমালোচনা-বিতর্কে বিপিএল বন্ধ ছিলো আড়াই বছর। অনেক পরিমার্জন করে, আর্থিক পরিসর-ব্যপ্তি কমিয়ে, আকাশ ছোঁয়া ভাবনায় বদল এনে বাস্তবতার নিরিখে পরিকল্পনা করে অবশেষে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের তৃতীয় আসর। পালা বদলের খাঁড়ায় কাটা পড়েছে একটি ছাড়া বিপিএলের আগের সব ফ্র্যাঞ্চাইজি। দেনা পরিশোধ না করায় বাতিল করা হয়েছে তাদের মালিকানা। নতুন মালিকানায় নতুন নামে মাঠে নামছে পাঁচটি দল, কেবল রংপুর রাইডার্সই আছে আগের নামে, আগের মালিকানায়।