স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার জনকল্যাণ সংস্থার আভ্যন্তরীণ সঙ্কট গত কয়েক বছরে যেমন কাটেনি, তেমনই সংস্থাটিকে টেকানোর স্বার্থে স্বচ্ছতার সাথে নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে প্রশাসক নিয়োগের দাবিও বার বার অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে। এসব অভিযোগ তুলে আবারও সংস্থার সহকারী পরিচালক (অর্থ) বলে দাবি করে এমদাদুল হক নির্বাহী পরিচালক নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা ফিরিস্তি মেলে ধরেছেন। বলেছেন, জনকল্যাণ সংস্থার মেয়াদোত্তীর্ণ নির্বাহী পরিচালক মো. নরুল ইসলাম কর্তৃক চাঁদার দাবিতে সংস্থার কর্মকর্তা রফিকুজ্জামানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১১ নভেম্বর থানায় জিডিও করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গায় বহু আগে গড়ে তোলা সংস্থাটি কালক্রমে নাম পরির্তন করে জনকল্যাণ সংস্থা করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা শহর, শহরতলী দৌলাতদিয়াড় হয়ে ফিরেছে ভালাইপুর মোড়ে। দীর্ঘ পথচলায় সংস্থাটির আভ্যন্তরীণ সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। ঘটেছে নানা ঘটনা। উভয়পক্ষই মামলায় জড়িয়েছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের যেন অন্তঃ নেই। এরই আড়ালে হারানোর উপক্রম দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত বহু জনের কর্মসংস্থান হয়ে ওঠা সংস্থাটি। এরই মাঝে গত ১১ নভেম্বর রোকনুজ্জামান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও এরিয়া ম্যানেজার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাঁদার দাবিতে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সদর থানায় জিডি করেছেন।
এদিকে এমদাদুল হক লিখিত আবেদনে বলেছেন, সংস্থার সাধারণ সদস্য হালিমা হক, ববিতা খাতুন ও অ্যাড. আব্দুর রশিদ যুক্ত স্বাক্ষরিতপত্র চুয়াডাঙ্গা সমাজসেবা উপপরিচালক আতিয়ার রহমানের নিকট দেন গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর। সেই আবেদনে নূরুল ইসলামের নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রতিকার প্রার্থনা করা হয়। কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হলেও বদলিজনিত কারণে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বর্তমানে কোনো কমিটি না থাকায় দিক নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দেয়া হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। গত ২৯ অক্টোবর ও গত ৮ নভেম্বর আবারও সংস্থাটি রক্ষার স্বার্থে প্রশাসক নিয়োগের জন্য সমাজসেবা অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপপরিচালক আতিয়ার রহমানের নিকট আবেদন করা হয়। সংস্থার বেশ ক’জন সদস্য সশরীরে উপপরিচালকের দফতরে হাজির হয়ে অনুরোধ জানানোর পরও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। উপরন্ত গত ১১ নভেম্বর একজন কর্মকর্তার নিকট টাকা চেয়ে না পেয়ে মারপিট করা হয়েছে।