স্টাফ রিপোর্টার: ব্যাটিঙে যে হতাশাজনক বিদায়। তবুও মন খারাপ নয় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। এতোদিন যা পারেননি তা গতকাল শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করে দেখালেন তিনি। ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার সাকিব।
ব্যাটিঙে হতাশাজনকভাবে সাজঘরে ফেরার পর আবার যখন মাঠে ফিরলেন তখন ঝলসে উঠলেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। একে একে তুলে নিলেন পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। আর এটাই ওয়ানডেতে সাকিবের পাঁচ উইকেট শিকার। অবশ্য টেস্টম্যাচে ১৪ বার পাঁচ উইকেট পাওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করে ফেলেছেন তিনি। এর আগে ছয় ইনিংসে চারটি করে উইকেট পেলেও পাঁচের দেখা পাচ্ছিলেন না সাকিব। আজকের ম্যাচেও ফসকে যেতে বসেছিলো। মাত্র দুটি বল বাকি থাকতে ১০ম ওভারের পঞ্চম বলে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন। এতে কপাল পোড়ে পানিয়াঙ্গারার। দীর্ঘ ৯ বছর আর ১৫৬টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার পর অবশেষে সাকিবকে ধরা দিলো সেই পাঁচ উইকেট। অথচ কোনো ভাবান্তর নেই এই অলরাউন্ডারের। নেই কোনো উচ্ছ্বাস। ম্যাচ শেষে সকলকে অবাক করে দিয়ে বললেন, এতে তার কোনো কৃতিত্বই নেই। আসলে উইকেট স্পিনারদের জন্য খুব ভালো ছিলো। আমি কেবল ঠিক জায়গায় বল করে গেছি। আমি বরং ভাগ্যবান ছিলাম।
তিনি আরও বলেন, আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি- এটা যেমন ঠিক, তেমনই কঠিন পরিশ্রম না করলে ভাগ্য মুখ তুলে তাকায় না। আর ব্যাটে-বলে দু জায়গাতেই পারফর্ম করা দায়িত্ব বলে জানান সাকিব। ইনিংসের অষ্টম ওভারে আক্রমণে আসেন সাকিব। আর আঘাত হানেন নিজের দ্বিতীয় ওভারে। তার বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লিটন দাসের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হন চিবাবা। ম্যাচে এটাই সাকিবে প্রথম শিকার। আর ক্রেইগ আরভিন সাকিবের দ্বিতীয় শিকার। উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফে নাসিরের ক্যাচে পরিণত হন আরভিন। অতিথিদের আরেক ব্যাটিং ভরসা শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করে জিম্বাবুয়ের বিপদ আরও বাড়ান সাকিব। এটা সাকিবের তৃতীয় শিকার।
নিজের নবম ওভারে আবার আঘাত হানেন সাকিব। গ্রায়েম ক্রেমারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। শেষ ওভারে এসে টিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে বোল্ড করে এক অতৃপ্তি ঘোচান সাকিব। এই প্রথম ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট পেলেন তিনি।