গভীর শ্রদ্ধায় জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ : বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: পলাতক খুনিদের দেশে ফিরে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার দাবি এবং গভীর শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ, আলোচনাসভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ যথাযোগ্য মর্যাদায় গতকাল মঙ্গলবার শোকাবহ জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। জাতি স্মরণ করেছে তার চার সূর্যসন্তানকে এবং ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এ কালো অধ্যায়টি।
চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে দিবসটি পালনে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। রাজধানীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতিকে সম্মান জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে শেখ হাসিনা দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন। সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে জাতীয় তিন নেতার কবরেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানেও পবিত্র ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর সময় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী এবং ভ্রাতিপ্রতিম সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের এই দিন সূর্যোদয়ের আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতা তাজউদ্দীন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের সাথে আপস না করে মৃত্যুকে বরণ করেছিলেন বলেই জাতির মুক্তি সংগ্রামের এ চার নেতা এখনও বাঙালি মানসে স্বমহিমায় উজ্জ্বল হয়ে আছেন।
চুয়াডাঙ্গায় জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্ধনমিত আকারে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান ও সদর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশহাবুল হক মালিক লন্টু জাতীয় ও সাংগঠনিক পতাকা উত্তোলন করেন।
পতাকা উত্তোলনের পরেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহম্মদ, এম মনসুর আলী ও এইচএম কামরুজ্জামানের প্রতিকৃতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুষ্পমাল্য ও ফুলের তোড়া অর্পণ করা হয়। এ সময় চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ দলীয় এবং সহযোগী সংগঠন সমূহের বিভিন্ন স্তরের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। দিবসটির কর্মসূচির মধ্যে বেলা ১১টায় একটি শোক ৱালি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। ৱ্যালিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, অ্যাডভোকেট সামশুজ্জোহা পিপি, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক খুস্তার জামিল, প্রচার সম্পাদক ফেরদৌস ওয়ারা সুন্না, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক লিটু বিশ্বাস, জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কহিনুর বেগম, জেলা যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিকসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ৱ্যালি শেষে দলীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। বিকেলে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা রেলবাজারস্থ বিএডিসি ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা দিবসের প্রধান ৱ্যালিতে যোগ দেন। নেতৃত্বে ছিলেন লোকমান হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম, ফরিদ হোসেন, বিল্লাল মিয়া, মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, আলমডাঙ্গায় জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে গতকাল সকালে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় ৪ নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করে। বিকেলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শোক ৱ্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে আলতায়েবা মোড়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু। বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাবলু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক কাজী রবিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান, লুৎফর রহমান ও হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টারের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মহিদ,সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ শর্মা, প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে আসাবুল হক ঠাণ্ডু, আব্দুল হালিম, আনোয়ার মাস্টার, বিল্লাল গনি, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আহসানউল্লাহ, পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল গাফফার, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুবলীগ নেতা আসাদুল হক ডিটু, মতিউর রহমান ফারুক, সাইফুর রহমান পিন্টু, মিজানুর রহমান মিজান, আবু সাইদ পিন্টু, টগর, বুলবুল, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, যুগ্মসম্পাদক আল কাফি, প্রচার সম্পাদক বাদশা, উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক জাইদুল ইসলাম, পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী চন্দন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাহেদা ইসলাম, আনজিরা খাতুন, কাজী স্নিগ্ধা, পৌর নেত্রী রাবিয়া খাতুন, শাহানাজ, মোমেনা, শাহানারা, জাহানারা, সুফিয়া, রুশিয়া, নুরবানুসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিনে, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের এরশাদপুরে বাদ এশা জাতীয় ৪ নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুসা, পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল গাফফার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সম্পাদক ওসমান আলী, যুবলীগ নেতা আব্দুল লতিফ, রাজু আহমেদ, লাভলু হোসেন, বিল্লাল হোসেন, রুস্তম আলি, ফরিদ উদ্দীন, নুরনবী, পাপ্পু, মিলন আলী প্রমুখ।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে দর্শনায় আ.লীগের উদ্যোগে পৃথক পৃথক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দর্শনা পৌর আ.লীগের আয়োজনে বিকেলে পৌর আ.লীগের কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে জাতীয় ৪ নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অপর্ণ, জাতীয়-দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন করেন আ.লীগ নেতৃবৃন্দ। স্মরণসভার সভাপতিত্ব করেন দর্শনা পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাদুল ইসলাম আজাদ, উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, আ.লীগ নেতা আলী মুনসুর বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, হাজি জয়নাল আবেদীন, মোমিনুল ইসলাম, আ. খালেক, শফিকুল আলম, আ. রফিক কাবি, মোয়াজ্জেম মণ্ডল, আ. জব্বার, সাবেক যুবলীগ নেতা কাজল আহম্মেদ, বিল্লাল হোসেন, হবা জোয়ার্দ্দার, পৌর কাউন্সিলর রবিউল হক সুমন, যুবলীগ নেতা আব্দুল হান্নান ছোট, আজিজুর রহমান বাবু, শেখ আসলাম আলী তোতা, ইকবাল হোসেন, মামুন শাহ, হাফিজ মল্লিক, সাজাহান মোল্লা, রফিকুল ইসলাম, ফয়সাল, অহিদুল ইসলাম, আ. হান্নান, জাকির হোসেন, সোহেল, মনির সরদার, ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, ববি নাহিদ, পারভেজ, তোফাজ্জেল হোসেন তপু, আশরাফুল, আলামিন, মিল্লাত অপু, প্রকাশ প্রমুখ।
অপরদিকে জেলহত্যা দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে পালন করেছে দর্শনা পৌর আ.লীগ। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দর্শনা রেলবাজারের চেয়ারম্যান মার্কেটের ছাদে জাতীয় ৪ নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জাতীয়-দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন করেন দলের নেতাকর্মীরা। বিকেলে শোক ৱ্যালি শেষে দর্শনা ফুলতলা চত্বরে গণ জামায়েত ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। উগ্র মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও এ স্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন পৌর আ.লীগের সহসভাপতি আমির হোসেন। বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক শ্রমিকনেতা সিরাজুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা মোজাহারুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রওশন আকবর লাইলী, মুন্সি সিরাজুল ইসলাম, আ. হান্নান, আ. কুদ্দুস, ওমর আলী প্রমুখ। আ.লীগের পৃথক দুটি স্মরণসভায় জাতীয় ৪ নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় চার নেতার জীবনী নিয়ে আলোচনাসহ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগ অফিসে জীবননগর উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক আ. সালাম ঈশার সভাপতিত্বে বিকেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ইকতিয়ার উদ্দিন, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল মালেক মোল্লা ও উথলী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন খান। যুবলীগ নেতা শামীম সরোয়ারের পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ সদস্য মজিবর রহমান, শাহ আলম শরিফুল ইসলাম, খায়রুল বাশার শিপলু, উপজেলা যুবলীগ সদস্য সালাহ উদ্দিন কবীর, যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, জুয়েল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম রাজা, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম মানিক, জীবননগর ডিগ্রি কলেজ সভাপতি মেহেদী হাসান প্রমুখ।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর গাংনীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে ৱ্যালি ও সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগ। ৱ্যালিটি গাংনী সিদ্দিকীয়া সিনিয়ার মাদরাসা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ রেজাউল চত্বরে পৌঁছে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ৱ্যালির নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রেজা সেন্টু, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন। অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মহাসিন আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম রতন, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অনিক ও রাকিবুলসহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের বক্তারা বলেন, একাত্তরের মানবতা বিরোধী ও জাতির পিতার খুনীদের বিচারের মধ্য দিয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলহত্যা মামলার আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে জাতীয় চার নেতার সাহসী ভূমিকা সবার জানা। জেলহত্যা দিবস থেকেই মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ বিরোধীদের প্রতিরোধে নতুন করে শপথ নেয়ার আহ্বান জানান।