রফিকুল ইসলাম: জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আটকবর, আলমডাঙ্গার স্মৃতি-৭১ ও মেহেরপুরের সোনাপুরের দু শহীদের কবর সংরক্ষণের মতোই সকলের সহযোগিতা নিয়ে এই ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। আগামী ২৬ মার্চ উদ্বোধন করার লক্ষ্য নিয়েই দ্রুতগতিতে কাজ করা হবে।’
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার শহীদ হাসান চত্বরে নির্মিতব্য মহান স্বাধীনতার স্মারক ‘শহীদদের স্মরণে’ ভাস্কর্যের ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার এমপি উপরোক্ত কথা বলেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস ও পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান। এ সময় নকশা প্রণয়নকারী ভাস্কর খুলনার কবির আহমেদ, নকশাবিদ চুয়াডাঙ্গা রেলপাড়ার গোলাম মোহাম্মদ জোয়ার্দ্দার, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাসুম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, পিপি অ্যাড. মুহ. শামশুজ্জোহা এবং পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আয়ুব আলীসহ পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ফলক উন্মোচন শেষে দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ উজ্জামান লিটু।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ‘দেশের অন্যান্য জেলায় দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা থাকলেও এ জেলায় নেই। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধাদের দীর্ঘদিনের দাবি ও সকল শহীদ সহযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এ ভাস্কর্য নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্থানীয় মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় এটি নির্মাণ করা হবে। মুক্তিযোদ্ধারা দেশের জন্য অনেক কিছুই করেছে। তাদের অবদানের কথা মনে রেখে কাজ করতে হবে।’
জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, শহীদদের স্মরণে ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়টি একটি শুভ উদ্যোগ। পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেন, এ স্থাপনা শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধে এ জেলার মানুষের স্মারক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার স্বাধীনতার স্মারক স্তম্ভ নির্মাণ চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য ঐতিহাসিক দাবি করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে চুয়াডাঙ্গাবাসীর অবদানকে বিশ্বের বুকে নতুন করে তুলে ধরা সম্ভব হবে। ভাস্কর কবির আহমেদ জানান, ১৫ ফুট গোলাকার ভিত্তির ওপর ২৫ ফুট উচ্চতার ভাস্কর্য তৈরি হবে। এতে শাদা সিমেন্ট, পোড়ামাটি টেরাকোটা, টাইলস ও স্টেইনলেস স্টিলসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ ব্যবহার করা হবে। চুয়াডাঙ্গার কৃতীসন্তান গোলাম মোহাম্মদ জোয়ার্দ্দার বলেন, স্বাধীনতার স্মারক ভাস্কর্য নিজ জেলায় হচ্ছে এবং আমি নিজে সেই ইতিহাসের অংশ হচ্ছি এটা অনেক বড় পাওয়া।