আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার শ্রীনগর গ্রামে মসজিদে ইমামের নামাজ পড়ানোকে কেন্দ্র করে দু গ্রামবাসীর মধ্যে সৃষ্ট টান টান উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত সালিসে প্রশমিত হয়েছে। আলমডাঙ্গা থানা চত্বরে ওসিসহ ২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদ্বয়ের উপস্থিতিতে এ সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্রীনগর মাঝেরপাড়া পুরাতন জামে মসজিদের ইমাম প্রায় ৭ মাস আগে নিয়োগ পান কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বারের মঈনুদ্দীন আহমেদ। তিনি আহলে হাদিস সমর্থক। আহলে হাদিস মতে নামাজ পড়ানো শুরু করলে গ্রামের অনেকে বিরোধিতা শুরু করে। কিন্তু তাদের অসন্তুষ্টি উপেক্ষা করে ইমাম আহলে হাদিস মতে নামাজ পড়ানো অব্যাহত রাখলে সে ক্ষোভ বহু গুণ বেড়ে যায়। গ্রামের বড় একটা গ্রুপ আলাদা হয়ে যায়। তারা প্রায় ৫ মাস আগে গ্রামের ক্যানেলের পাড়ে ওয়াবদার জমিতে পৃথক মসজিদ তৈরি করে নামাজ পড়তে শুরু করেন। মাসের পর মাস গ্রামে এ উত্তেজনা চলতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে মসজিদের সভাপতি আব্দুল লতিফ আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমানকে অনুরোধ করেন বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে ২ দল গ্রামবাসীকে এক করার জন্য। থানার ওসি সম্প্রতি ওই মসজিদের ইমামসহ ইমামের পক্ষের নেতা শ্রীনগর গ্রামের ইজাল লস্করের ছেলে শরিফ ও নোয়াজীশ আলীর ছেলে শাহীনকে। অপরপক্ষে, বিরোধিপক্ষের নেতা একই গ্রামের মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে আব্দুস সামাদ, মৃত ইয়াজ মণ্ডলের ছেলে হাজী মিনহাজ ও মৃত শামসুদ্দীন মণ্ডলের ছেলে মিজানুর রহমানকে নোটিশ করেন গতকাল রোববার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত সালিসে উপস্থিত হতে। বিকেলে উভয়পক্ষ উপস্থিত হয়। এছাড়া জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা আলিম মাদরাসার সুপার মুফতি সিরাজ ও উপজেলা জামে মসজিদের ইমাম মাসুদ কামাল। বিশেষজ্ঞদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সিদ্ধান্ত হয় ওই ইমামকে সরে যেতে হবে। এই শর্তে দু গ্রুপ গ্রামবাসী পুনরায় একসাথে এক মসজিদে নামাজ পড়তে সম্মত হয়। আজ সোমবার মসজিদের ইমামের চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা।