স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শাসক গোষ্ঠী প্রতিনিয়ত বিরোধী দলের নেতাদের চরিত্র হননের হীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের এ ধরণের ফ্যাসিবাদী-অগণতান্ত্রিক ভূমিকা ও দুর্বৃত্তায়ন এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যার পরিণতিতে দেশের মানুষের দম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। গতকাল শুক্রবার বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘সরকারকে আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, তারা কোনোভাবেই জনগণের নির্বাচিত সরকার নন।’ দুঃখের বিষয় পাঁচ বছর ক্ষমতায় বহাল থাকার আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে জনগণই যে সকল ক্ষমতার উৎস, সে সত্য কথাটি সরকার ক্রমাগত অস্বীকার করে চলেছেন। কারণ, এ সরকার জানেন, তাদের সাথে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ নেই। তাই তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে যেয়ে আজ তারা মরিয়া হয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি দমন-নিপীড়নের পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি সরকারকে আরও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, দমন-নিপীড়ন ও গ্রেফতার করে পৃথিবীতে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে পারেনি। খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে একে একে কারাগারে অন্তরীণ করে দলকে নেতৃত্বশূন্য করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের তরফ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বারবার বলা হয়েছে- বিএনপি কখনো সন্ত্রাসের রাজনীতি করেনি এবং সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয়ও দেয়নি। এটা সবারই জানা যে, বিএনপি দেশের অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে মুক্ত করার লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ পথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু আন্দোলন চলাকালে সরকারি এজেন্টরা, শাসক দলীয় লোকেরাই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে তার দায় বিরোধী দলের কাঁধে চাপানোর অপপ্রয়াস নিয়েছিলো। আর এটা কারোই অজানা নয়। বিগত আন্দোলনে সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর সাথে শাসক দলীয় ক্যাডারদের জড়িত থাকার ঘটনা তখনকার বহু পত্রপত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছিলো।