উপজেলা প্রশাসনের নিষেধ অমান্য করে সরকারি জায়গা দখল করে বেগমপুরের দোস্ত বাজারে চলছে দোকান ঘর নির্মাণ!

ব্যবস্থ নিতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত বাজারে উপজেলা প্রশাসনের নিষেধ তোয়াক্কা না করে সরকারি জায়গা দখল করে পাকাদোকান ঘর নির্মাণ অব্যাহত রাখার অভিযোগ উঠেছে বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেনর বিরুদ্ধে। এ দোকান ঘর নির্মাণে প্রত্যক্ষ মদদ দিচ্ছেন স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এদিকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে জেলা পরিষদের প্রশাসন থেকে।

অভিযোগে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত বাজারে ২ নং খতিয়ানে ৭৩৫ দাগে বাজারের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পাকা সড়কের একপাশে জেলা পরিষদের ৮৯ শতক সরকারি জমি দীর্ঘদিন থেকে দখল করে রেখেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ২০-২২ জন। কুন্দিপুর গ্রামের গুলু শেখের ছেলে বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন সম্প্রতি দু কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হলে মাপজোক শুরু করে। এ নিয়ে দখলদারদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়। এতোদিন নিজের জায়গা বলে জোর দাবি করে যা খুশি তাই করে আসছিলেন দখলদাররা। এমন কি সরকারি জায়গা দখল করে লাখ লাখ টাকায় পজিশন বিক্রি করেছেন অনেকেই। সপ্তাখানেক আগে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সাজ্জাদ হোসেনকে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয়া হয়। কিন্তু কৌশলে সাজ্জাদ ধীরে ধীরে কাজা চালাতে থাকেন। গতকাল ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতার পরামর্শে পুনরায় দোকান ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন সাজ্জাদ। খবর পেয়ে বেগমপুর ভূমি অফিসের লোকজন কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। সাজ্জাদ হোসেনের এ কর্মকাণ্ড দেখে হতবাক অনেকেই।

এ বিষয়ে বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান কাজল বলেন, সরকারি জায়গা অনেকেই দখল করে রেখেছেন। সাজ্জাদ হোসেন তো একজন সামান্য কাপড়ের দোকানদার। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a comment