ফলোআপ: ইউএনওর নির্দেশে চুয়াডাঙ্গার দোস্ত বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত বাজারে সরকারি জায়গা দখল করে প্রভাবশালী সাজ্জাদের পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সেই সাথে বাজারের সব জমি মাপযোগ করে দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানিয়েছেন। ভায়া লিজ গ্রহীতা দোকানদাররা রয়েছে শঙ্কার মধ্যে। লিজ নেয়া লাখ লাখ টাকা ফেরত দেবে কে?

সরেজমিনে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নে দোস্ত বাজার অবস্থিত। এ বাজার সরকার প্রতিবছর ইজারা দিয়ে থাকে। এ বাজারের ওপর দিয়ে হিজলগাড়ি-দর্শনা সড়ক অবস্থিত। যেখানে রয়েছে একটি সাপ্তাহিক হাট। যা সপ্তাহে শুক্র ও মঙ্গলবার বসে। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, কোন প্রকার লিজ ছাড়াই রাস্তার একপাশে প্রায় ৩৫/৪০টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রথমে চা বিক্রি অথবা পান-বিড়ির দোকান দিয়ে দখলে নিয়ে পরে তা লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে ব্যক্তি মালিকানার সূত্রধরে লিজ নিয়ে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেছে অনেকেই। মূল্যবান সম্পদ লিজ দিয়ে দখলদাররা লাভবান হলেও সরকার কোনো রাজস্ব পায়নি। কয়েকদিন ধরে ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের গুলু শেখের ছেলে প্রভাবশালী সাজ্জাদ হোসেন গায়ের জোরে দোস্ত বাজারের সরকারি জমি দখল করে দুটি পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেন। এ সংক্রান্ত একটি সচিত্র প্রতিবেদন গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের। তিনি তাৎখনিক বেগমপুর ভূমি অফিসকে নির্দেশ দেন সাজ্জাদ যেন পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখে। শুধু সাজ্জাদই না বাজারের সমস্ত জমি মাপযোগ হবে বলেও নির্দেশ দেন। সরকারি সম্পত্তি দখলমুক্ত করে বিধিমোতাবেক কি করা হবে সে সিদ্ধন্ত পরে নেয়া হবে বলেও তিনি জানান। এ দিকে দেরিতে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় সাধুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামানের নির্দেশে যারা অবৈধ্ভাবে সরকারি জমি দখল করে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করেছে তারা বিচলিত হয়ে পড়েছে। কারণ লিজের টাকা ফেরত পাবে কীভাবে। যারা দখলিয় জায়গা লিজ দিয়েছে তারা অনেকেই এলাকাতে বসবাস করে না। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড কেএম মামুন উজ্জামান বলেন, আজকালের মধ্যেই দোস্ত বাজারের দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি মাপজোখ করে তা দখল মুক্ত করার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Leave a comment