চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের প্রধান প্রধান সড়কে বৈধ-অবৈধ যান

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মহাসড়ক থেকে অটোরিকশা, টেম্পুসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল ১ আগস্ট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার কথা। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের সড়কগুলোতে? চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বললেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় জাতীয় মহাসড়ক নেই। মেহেরপুর পুলিশ সুপার বললেন, ওই যানবাহনগুলো একদিনে বন্ধ করা সম্ভব নয়।

১ আগস্ট থেকে মহাসড়কগুলোতে অটোরিকশা, ইজিবাইক, থ্রিহুইলার, টেম্পোসহ সব ধরনের অযান্ত্রিক যান চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ইতঃপূর্বেও শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধ যান নসিমন-করিমন ও আলমসাধু বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনা থাকলেও চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরের প্রধান প্রধান সড়ক থেকে উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ যানের বিরুদ্ধে সাময়িক অভিযান পরিচালিত হলেও তা অদৃশ্য কারণে থেমে যায়। অবৈধ যানবাহনের কারণে সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার শিকার হয় সাধারণ মানুষ। চুয়াডাঙ্গায় বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে এসব যানবাহন। অটো চলাচলের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেছেন, আমাদের কাছে যে নির্দেশনা এসেছে তা জাতীয় মহাসড়কের জন্য। যেহেতু চুয়াডাঙ্গা জেলায় কোনো জাতীয় মহাসড়ক নেই। এখানে আছে আঞ্চলিক মহাসড়ক। তাই এ নির্দেশ পালন করা লাগছে না। তবে মন্ত্রণালয় বা পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে এর আগের যেসব নির্দেশনা আছে আমরা সেগুলো যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেহেরপুরের দুটি আঞ্চলিক মহাসড়কে চলছে থ্রিহুইলার, ইজিবাইক, অটোরিকশা ও শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযান আলমসাধুসহ বিভিন্ন প্রকার যানবাহন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বাস ও মিনিবাস চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞায় তারা ওইসব অবৈধ যানবাহন বন্ধের ব্যাপারে আশায় বুক বেঁধেছিলেন। কিন্তু সকাল থেকে প্রশাসনের কোনো পদেক্ষপ দেখতে না পেয়ে তারা হতাশা। সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি।

মেহেরপুর থেকে ঢাকাগামী একটি পরিবহনের চালক আমিরুল ইসলাম জানান, সড়কের দু পাশ এখন কাদায় ভরা। শুষ্ক মরসুমে পাকা সড়কের ওপর থেকে বাসের চাকা মাটিতে নামালেও কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু এখন ছোট ছোট যানবাহন সাইড দিতে গিয়ে অনেক সময় কাদায় নামাতে হচ্ছে। এতে কাদায় চাকা আটকে গিয়ে বাস চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। মেহেপুর থেকে শুরু করে ঢাকার গাবতলীর আগ পর্যন্ত অসংখ্য থ্রিহুইলার ও ইজিবাইক সাইড দিতে হয়। এসব যানবাহনের জন্য সময়মতো গন্তব্যে পৌছানো যায় না। কিন্তু সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন না হওয়ায় আগের মতোই খারাপ অবস্থার মধ্যে বাস চালাতে হবে বলে আশঙ্কার কথা জানালেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেরপুর পুলিশ সুপার হামিদুল আলম জানান, ওই যানবাহনগুলো একদিনে বন্ধ করা সম্ভব নয়। কেননা যারা অনেক অর্থ ব্যয় করে একটি যান কিনে আয়-রোজগার করছেন তা বন্ধ করে দিলে তাদের কি হবে? মানবিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে। অচিরেই মেহেরপুরের দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে ওইসব যানবাহন উঠিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

Leave a comment