দর্শনার গৃহবধূ তহমিনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আতিয়ার জেলহাজতে

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার দর্শনা আজমপুরের গৃহবধূ তহমিনা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আতিয়ার রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গতকাল রোববার দামুড়হুদার আমলি আদালতের বিচারক আব্দুল হালিম এ আদেশ দেন। এদিকে মামলার প্রধান আসামি আতিয়ার রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করতে এলে বাদী পক্ষের লোকজন বার ভবনের সামনে আতিয়ারের ওপর চড়াও হয়। মারপিট করে বলেও অভিযোগ ওঠে। এ সময় আইনজীবী ও আইনজীবী সহকারীরা আতিয়ারকে রক্ষা করেন, দাবি করেছেন আতিয়ার রহমানের আইনজীবী মশিউর রহমান পারভেজ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ জুন রাতে দর্শনা আজমপুরে আব্দুল কাদেরের বাড়িতে যশোর চৌগাছা থানার গোয়াতুলি গ্রামের মৃত শের আলীর ছেলে আতিয়ার রহমান দলবল নিয়ে আক্রমণ চালায়। এ সময় আতিয়ার রহমানসহ সাথে থাকা লোকজন আব্দুল কাদেরের মেয়ে জোছনা খাতুনকে মাইক্রোযোগে অপহরণ করে নিয়ে যাবার সময় তার মা তহমিনা খাতুন বাধা দেয়। এ সময় তহমিনা খাতুনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তহমিনা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তহমিনার স্বামী আব্দুল কাদের বাদী হয়ে আতিয়ার রহমানসহ কয়েকজনকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি হত্যা ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। দামুড়হুদা দর্শনা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, যশোর চৌগাছার গোয়াতলী পূর্বপাড়ার মৃত শের আলী মণ্ডলের ছেলে আতিয়ার রহমান (৩৪), গোয়াতলীর পশ্চিমপাড়ার মৃত জহর আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল লতিফ (৩০), হুজুর আলী মণ্ডলের ছেলে আব্দুল গণি (২৮), লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মোমিন (৩০) এবং বাদেখানপুর মাঝপাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন আনু (৩০)। এ মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য তিন আসামি আব্দুল গণি, মো. মোমিন ও আনোয়ার হোসেন উচ্চ আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ মামলার আইনজীবী মশিউর রহমান পারভেজ।

প্রসঙ্গত, এ ঘটনার সাত বছর আগে জোছনা খাতুনের সাথে আতিয়ার রহমানের বিয়ে হয় এবং তিন বছর আগে তালাক হয়। তালাকের পর থেকে জোছনা খাতুন দর্শনায় পিতা আব্দুল কাদেরের বাড়িতে বসবাস করতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে গত বছরের ২৬ জুন মাইক্রোযোগে আতিয়ার রহমানসহ আসামিরা তুলে নিতে এলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

Leave a comment