গাংনী বামন্দীর সেই গৃহবধূর সহযোগিতার আশ্বাস অনেকের : মণ গলেনি স্বামীর

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীর বামন্দী-নিশিপুরের মানসিক ভারসাম্যহীন গৃহবধূ ববিতা খাতুনের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই। গাছের সাথে বেঁধে চিকিৎসার জন্য টাকা সংগ্রহের বিষয়ে গতকাল শনিবার দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গাংনী থানার ওসি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। তবে এখনো মণ গলেনি স্বামী মিনা মিয়ার।

জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে বামন্দী মোল্লাপাড়ার মানসিক ভারসাম্য হারালে ববিতাকে তার খালার বাড়িতে ফেলে আসে স্বামী মিনা মিয়া। সহায় সম্বলহীন ববিতার চিকিৎসায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন স্থানীয় কয়েক তরুণ। তারা পথচারীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে চিকিৎসার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন বলেন, বিষয়টি অমানবিক। প্রতিটি মানুষ সহযোগিতা পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু তার উল্টোটি হচ্ছে। গাছের সাথে বেঁধে রেখে তার অসহায়ত্ব দেখিয়ে চিকিৎসার টাকা তুলতে হচ্ছে। এ গৃহবধূর প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত স্বামী মিনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থ গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বিষয়টি নজরে পড়েছে পুলিশের। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন জানান, গৃহবধূর চিকিৎসার সহযোগিতা ছাড়াও স্বামী মিনার বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ববিতার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় কয়েকজন জনপ্রতিনিধি। বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল জানান, এর আগেও মিনাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে মিনার যাবতীয় সহযোগিতার আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে মণ গলেনি অভিযুক্ত স্বামী মিনা মিয়ার। গতকাল তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হয় মিনার। গত ১৫ দিন আগে মিনা তাকে ডিভোর্স দিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে ডিভোর্সের কাগজপত্র কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ববিতা তাকে মৌখিকভাবে বিষয়টি জানিয়েছিলো। গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। একজন অসহায় গৃহবধূকে এভাবে ফেলে দেয়ার দায়ে মিনার শাস্তি দাবি করেন অনেকে।

Leave a comment