আলমডাঙ্গার ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালকের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করলেন আলমডাঙ্গার ব্রাইট মডেল স্কুলের পরিচালক জাকারিয়া হিরো। এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জাসদ নেতা এম সবেদ আলীর সংবাদ সafdম্মেলনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন দাবি করে গতকাল তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেছেন। একই দিনে ব্রাইট শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আলমডাঙ্গা হাইরোড জুড়ে মানবনবন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

সংবাদ সম্মেলনে পঠিত লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২১ এপ্রিল এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এম সবেদ আলী সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন যে তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক খালিদ মাহমুদকে ডেকে নির্যাতন করেছি। তার এ দাবি একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃত সত্য এই যে, গত ২০১০ সাল থেকে খালিদ মাহমুদ আমার প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে গত ১৬ এপ্রিল অবধি আমার প্রতিষ্ঠানেই চাকরি করে আসছিলো। এরপর থেকে কয়েক দিন বিদ্যালয়ে না আসায় তার স্ত্রী ব্রাইট মডেল স্কুলের শিক্ষক মুসলিমা খাতুনের নিকট কারণ জিজ্ঞাসা করলেই তিনি জানান, ২১ এপ্রিল খালিদ মাহমুদ দেখা করতে আসবেন। সেই কথামতো খালিদ মাহমুদ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ব্রাইট মডেল স্কুলে গিয়ে উপস্থিত হন। সে সময় খালিদ মাহমুদ জাকারিয়া হিরোকে জানায় তিনি এম সবেদ আলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পেয়েছেন। কীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন জাকারিয়া হিরো এ প্রশ্ন করলেই খালিদ মাহমুদ এম সবেদ আলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট ফোন করে তার সাথে কথা বলতে বলেন। তাকেও একই প্রশ্ন করলে তিনি এসে জানাচ্ছেন বলেই সাংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর খালিদ কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। এর আধঘণ্টা পর এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে ২০-২২ জন বহিরাগত লাঠিসোঁটা নিয়ে অফিসকক্ষে চড়াও হয়। সে সময় তারা গালাগালি ও অফিস ভাঙচুর করে। ধারালো অস্ত্রের মুখে জাকারিয়াকে জিম্মি করে অফিসে রক্ষিত টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলেও দাবি করেছেন তিনি। বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে জানানো হলে তিনি সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করান। পরে থানায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানায়। ওই সময় আলমডাঙ্গা থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা দেখেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, এম সবেদ আলী কর্তৃক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, আমার অর্থাৎ জাকারিয়া হিরোর নিকট থেকে ওসি মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। তিনি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করে তার প্রতিবাদ করেছেন। তার সংবাদ সম্মেলনের সাথে পরের দিন থানায় লিখিত দাখিলকৃত এজাহারের কোনো সাদৃশ্য নেই। সংবাদ সম্মেলনে পঠিত বক্তব্যে কোথাও উল্লেখ করেননি অপহরণ করার বিষয়টি। এমনকি টাকা ও সোনার গয়নাগাটি ছিনতাইয়ের ঘটনাও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ পরের দিন পরিকল্পিতভাবে থানায় এজাহারে এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।

Leave a comment