ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্কাবস্থা জারি করে বাতিল করেছে সকল চিকিৎসকের ছুটি : রোগ নির্ণনয়ে বিশেষজ্ঞ টিম
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকায় অজ্ঞাত রোগের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এ রোগে ইতোমধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ জন। সবশেষ আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকা মহাখালীর রোগতত্ত্ব ও উদারাময় গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে একটি মেডিকেল টিম এ রোগ নির্ণয় ও পর্যবেক্ষণে জন্য ঝিনাইদহে এসেছে। এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কাবস্থা।
জানা গেছে, মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সামন্তা ও কোলা গ্রাম। এ দু গ্রামে সম্প্রতি একের পর এক অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও নারী-পুরুষ। গত ২৯ মার্চ সামন্তা গ্রামের আবু হোসনের মেয়ে আসমা খাতুন (২২) এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। ওইদিনই হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরদিন একই ধরনের রোগী কোলা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে এনামূল হককে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনিও মারা যান। নতুন করে মৃত আসমা খাতুনের মা ছকিনা খাতুন (৪৫) এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে মহেশপুর থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এসব রোগীর শ্বাসকষ্টসহ নানা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জানান, অজ্ঞাত এ রোগের কারণে স্থানীয় সকল ডাক্তারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সতর্কাবস্থা জারি করা হয়েছে ওই এলাকায়। গঠন করা হয়েছে একাধিক মেডিকেল টিম। এ পর্যন্ত মোট ১৬ জন এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের সবাই চিকেন পক্সে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ভয় বা আতঙ্কের কিছু নেই।
রোগ নির্ণয়ের জন্য ঢাকার মহাখালীর আইইডিসিআর থেকে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম মঙ্গলবার ঝিনাইদহে এসেছে। মেডিকেল টিমের নেতৃত্বদানকারী ঢাকার মহাখালী আইইডিসিআরর মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান জানান, কি কারণে দুজন মারা গেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমরা তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। আক্রান্ত রোগীদের রক্ত ও কফের নমুনাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ রোগের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা হবে।