ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা গোকুলখালী বাজার হয়ে আসমানখালী রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রাস্তা দিয়ে পশুহাট এবং মঙ্গলবার সবজি ও পানহাটের ব্যবসায়ীরা পরিবহন নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। একমাত্র যাতায়াতের রাস্তাটির গত কয়েক মাস আগে কয়রাডাঙ্গা গোপীনগরের মাঝামাঝি কালভার্ট ভেঙে যাতায়াতের একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, গোকুলখালীর পানহাট ও পশুহাটে উপজেলার গাংনী, বাড়াদী, ভাংবাড়ি, খাদিমপুর ও চিৎলা ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা এ রাস্তার ওপর নির্ভর। কিন্তু হাটের কয়েকশ গজ দূরে কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতারা হাটে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। এ বিষয়ে চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান হাটমালিক জিল্লুর রহমান বলেন, এক বছর আগে এলজিডি রাস্তা এবং খালের পানি মাঠে যাতায়াতের জন্য নতুন কালভার্ট নির্মাণ করার কথা থাকলেও কালভার্টটি নির্মাণ না করে রাস্তা নির্মাণ করে। যে কারণে পুরোনো কালভার্ট ভেঙে পড়ায় রাস্তাও ভেঙে যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে পরপর কয়েকটি আলমসাধু উল্টে খাদে পড়ায় আর কেউ ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করেন না। হাটমালিক আসাদুজ্জামান কবীর, তহিদুল ইসলাম ফকা ও আমির হোসেনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রতিবছর আমরা এ হাট থেকে লাখ লাখ টাকা সরকারকে ইজারা দেয়া সত্ত্বেও রাস্তার সংস্কার না করায় হাটে ব্যবসায়ীরা যেতে পারছেন না। যার ফলে প্রতি হাটে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। এলজিডি বিষয়টি সুনজরে নিয়ে কালভার্টটি নির্মাণের মাধ্যমে যাতায়াতের উপযোগী করে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন হাটমালিক ও ব্যবসায়ীরা।