সুবদিয়ার গৃহবধূ পারভীনার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পিতার গ্রাম আলুকদিয়ায় দাফন
স্টাফ রিপোর্টার: দু সন্তানের জননী সালমা পারভীন ওরফে পারভীনা আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা করে স্বামীসহ স্বামীর লোকজন। মামলার বাদী এ অভিযোগ করে তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সূত্র বরেছে, প্রাথমিক তদন্তেও বাদীর অভিযোগের কিছু সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্তেও তার আলামত অনেকটাই স্পষ্ট রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
সুবদিয়ার গৃববধূ সালমা পারভীনের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পিতার গ্রাম আলুকদিয়ায় নেয়া হয়। সেখানেই নামাজে জানাজা শেষে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। তার স্বামী সিপি কোম্পানির ড্রাইভার উজ্জ্বল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। পারভীনার মেজ ভগ্নিপতি চুয়াডাঙ্গা হাটকালুগঞ্জের হায়দার আলী বাদী হয়ে গতকাল সোমবার এ মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া বাজারপাড়ার মৃত আছির উদ্দীনের তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে সালমা পারভীন ওরফে পারভীনার সাথে আনুমানিক ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় সুবদিয়া কাঁচারিপাড়ার মৃত মতলেব কেরুর ছেলে উজ্জ্বলের। দু সন্তানও আসে এদের সংসারে। উজ্জ্বল মাঝে মাঝেই তার স্ত্রীকে পৈত্রিক বাড়ির সম্পদ সম্পত্তির হিস্যা নেয়ার জন্য চাপ দিতো। মাঝে মাঝেই নির্যাতন করতো। গতপরশু তাকে প্রকাশ্যেই নির্যাতন করে। সন্ধ্যার পর লাশ হয় পারভীনা। নিথর দেহ নেয়া হয় হাসপাতালে। চিকিৎসকের সামনে নেয়া হলেও অনেকটা নাটকীয় কায়দায় মৃতদেহ সরিয়ে সুবদিয়ায় ফিরিয়ে নেয়া হয়। অপরদিকে পারভীনার মা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ রাতেই সুবদিয়া থেকে মৃতদেহ পুলিশ হেফাজতে নেয়। স্বামীপক্ষের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার পাঁয়তারা অব্যাহত রাখে। শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। গতকাল সোমবার সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়। মৃতদেহে আঘাতের দাগও পেয়েছে পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে তার পিতার বাড়ি নেয়া হয়। পারভীনার মেজ বোনের স্বামী বাদী হয়ে হত্যামামলা দায়ের করেছেন। মামলায় সালমা পারভীনের স্বামী উজ্জ্বল, উজ্জ্বলের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ও স্বামী পরিত্যাক্ত বোন রাবেয়া খাতুনকে আসামি করা হয়েছে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ অবশ্য আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।