মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হানাদার পাকবাহিনীর অব্যবহৃত দুটি শক্তিশালী গ্রেনেড আলমডাঙ্গার এরশাদপুর থেকে উদ্ধার

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: মুক্তিযুদ্ধের সময়কার হানাদার পাকবাহিনীর অব্যবহৃত দুটি শক্তিশালী গ্রেনেড আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাতির কুড়িয়ে আনা গ্রেনেড দুটি গতকাল লোহা ভেবে দাদি বিক্রি করতে ঘর থেকে নিয়ে আসে। এ সময় প্রতিবেশীরা পুলিশকে বিষয়টি জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার এরশাদপুরের মৃত দিদার শেখের বয়োবৃদ্ধ স্ত্রী সালেহা খাতুন গতকাল সকালে লোহা ভেবে ঘর থেকে দুটি গ্রেনেড ফেরিওয়ালার নিকট বিক্রি করতে বাড়ির সামনের রাস্তায় নিয়ে যায়। সে সময় প্রতিবেশীরা গ্রেনেড শনাক্ত করে তা বিক্রি করতে নিষেধ করে। তারা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার এসআই জিয়াউর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেড দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এলাকার মানুষ জানিয়েছে, আলমডাঙ্গা কলেজপাড়ার মোহাম্মদ আলী মাস্টার কয়েক বছর পূর্বে এরশাদপুরের ওই স্থানে একটি জমি কিনেছেন। ১২-১৪ দিন পূর্বে তিনি ওই জমিতে বাউন্ডারি ওয়াল দেয়ার কাজ শুরু করেন। বাউন্ডারি ওয়ালের লেউ কাটার সময় শ্রমিকরা সে সময় মাটির সামান্য নিচ থেকে দুটি গ্রেনেড খুঁড়ে তোলেন। তারা গ্রেনেড দুটি চিনতে না পেরে পাশে ছুঁড়ে ফেলেন। সে সময় একই পাড়ার আব্দুল হাকিমের ৮ বছর বয়সী ছেলে রাতুল তা কুঁড়িয়ে নিয়ে ঘরের চৌকির তলায় ফেলে রাখে। গতকাল রাতুলের দাদি তা নিছক লোহা ভেবে ভাংড়ি ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করতে যায়। সে সময় প্রতিবেশীরা গ্রেনেড দুটি শনাক্ত করতে পেরে পুলিশকে সংবাদ দেয়।

এলাকাবাসীর ধারণা- মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হানাদার পাকবাহিনী কম-বেশি আলমডাঙ্গাতেও নৃশংসতা চালায়। প্রায় ৭-৮ বছর পূর্বে একই পাড়ার আফজাল আলীর ছেলে আবুল হোসেন বাড়ির পাশের গর্ত থেকে মাটি কাটার সময় তার কোদাল একটি গ্রেনেডে কোপ বসালে প্রচণ্ড শব্দে তা বিস্ফোরিত হয়। সে সময় গ্রেনেডের আঘাতে আবুলের এক চোখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত-বিক্ষত হয়। এসআই জিয়াউর রহমান বলেন, গ্রেনেড দুটি শক্তিশালী বলে প্রাথমিকভাবে অনুমিত হচ্ছে। এগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার।

Leave a comment