চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরসহ সারাদেশে গর্বের অমর একুশে পালন
মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ভাষা শহীদদের স্মরণ, সর্বত্র বাংলা ভাষা চালু, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের মধ্যদিয়ে জাতি পালন করেছে শোক আর গর্বের অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের কর্মসূচি মূলত পরশু রাত ১২টা ১ মিনিট থেকেই শুরু হয়। এ সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যেমন জনতার ঢল নামে, তেমনই চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের শহীদ মিনারের পদদেশ ফুলে ফুলে ভোরে ওঠে। প্রভাতে শুরু হয় প্রভাতফেরি। সন্ধ্যায় আলোচনাসভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচি পালন সম্পন্ন হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু করে শহর গ্রাম-পাড়া-মহল্লা এমনকি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এবারও পালন করা হলো মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। সরকারি ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। উত্তোলন করা হয় কালো পতাকা। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করে। সংবাদপত্রগুলোও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
একুশের প্রথম প্রহর থেকে শুরু করে পরদিন বিকাল পর্যন্ত অসংখ্য রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। ফুলে ফুলে ভরে যায় শহীদ মিনারের বেদি। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করতে আসা অধিকাংশ মানুষের পোশাকে ছিল একুশের চেতনার ছাপ শোকের কালো রং। অনেকেই গালে, হাতে শহীদ মিনারের আল্পনা, বর্ণমালা, কবিতার চরণ বা গানের কলি এঁকে নিয়েছিলেন। আবার অনেকের টিশার্ট ও কপালের ফিতায় লেখা ছিলো: যুদ্ধাপরাধীদের অবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে, সহিংসতাকারীদের প্রতিহত করতে হবে। ফুলের তোড়া হাতে অপেক্ষমাণ মানুষের সারি পলাশীর মোড় ছাড়িয়ে নীলক্ষেত পর্যন্ত চলে যায়। দীর্ঘ লাইনে ফুল আর ছোট ছোট পতাকা হাতে অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায় সব বয়সের, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে। তাদের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় সেই চিরচেনা গান, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি…।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমী ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে সকাল সাড়ে ১০টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমীর মুক্তমঞ্চে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন। বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামানসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হামনাত ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মুনজুরুল জাহিদ স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ১৯৫২ সালের আজকের এদিনে বাংলাভাষার জন্য পাকিস্তানের জারি করা ১৪৪ ধারা ভেঙে বাংলার মুক্তিকামি ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মিছিল বের করে। পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এতে বাংলার বীর সন্তানেরা শহীদ হন। আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে দাড়িয়ে এ বাংলার মুক্তিকামি কোটি জনতা তাদের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রকে, অন্য, বাকসহ মৌলিক অধিকার খেকে বঞ্চিত। মৌলিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য বাংলার জনতা যখন রাজপথ কাপাচ্ছে। ঠিক তখনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো সরকারের পেটোয়াবাহিনী নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা যজ্ঞ চালাচ্ছে। আমাদের মনে করিয়ে দিচ্ছে সালের পরিবর্তন হয়েছে। দেশ মুক্ত হয়েছে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানী বাহিনীর হাত থেকে দেশ মুক্ত হয়নি। আজ আবার তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে দেশের জনগণের ওপর ন্যাকারজনক অত্যাচারের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রণ ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত হয়েছে। দেশের ক্লান্তিলগ্নে বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে চলমান অবরোধের অংশ হিসেবে আজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ ও ৭২ ঘণ্টার হরতাল সফল করার আহ্বান জানান। সেই সাথে শামসুজজামান দুদুরসহ সকল বন্দী নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলার বীর শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি ৱ্যালি বের করা ৱ্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারে বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ করে। ৱ্যালিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীগণ অংশ নেন।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইব) চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা এ উপলক্ষে কার্যালয় থেকে ৱ্যালি বের করে। ৱ্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ শেষে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ চত্বরে শহীদ মিনারে বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অপর্ণ করে। ৱ্যালিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদস্য প্রকৌশলীগণ অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল শনিবার সকাল ৭টায় সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শোকৱ্যালি শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিসেস মাহজেবীন, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমানসহ সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী। পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মো. খাইরুল ইসলাম।
মাখালডাঙ্গা-দীননাথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সকাল ৭টার দিকে শোকৱ্যালি শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ধর্মীয় শিক্ষক আবু সাইদ।
এদিকে সকাল ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গার ওয়েভ ফাউন্ডেশন, আত্মবিশ্বাস, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, পাস, রিসো, এডাব চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখা ও উদীচী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে প্রভাতফেরি ও শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রভাতফেরি ও শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণে উপস্থিত ছিলেন আত্মবিশ্বাসের নির্বাহী পরিচালক আকরামুল হক রিশ্বাস, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিল্লাল হোসেন, পাসের নির্বাহী পরিচালক ইলিয়াছ হোসেন, রিসোর নির্বাহী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ও আকাঙ্ক্ষার নির্বাহী পরিচালক শাহীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।
চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ এ দিবস পালন করা হয়। সংস্থার নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের নেতৃত্বে শোকৱ্যালিসহ চুয়াডাঙ্গার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য করেন।
জাতীয় যুব সংহতি চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যোগে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মাসুদ সরকার।
ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল ৯টায় ডিঙ্গেদহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান শিক্ষক শরিফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান। শহীদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লোকমান হোসেন। এছাড়া সোহরাওয়ার্দ্দী স্মরণী বিদ্যাপীঠ, ডিঙ্গেদহ দাখিল মাদরাসা, উদীচী ডিঙ্গেদহ শাখা, ডিঙ্গেদহ কিন্ডারগার্টেন, খেজুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শঙ্করচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালশুকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৱ্যালি শেষে শহীদ মিনারে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ করে। বেগনগর বিল্লাল হুসাইন কিন্ডারগার্টনের উদ্যোগে শহীদ মিনারে পুষ্প্যমাল্য অর্পণ ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। ওসমান গণির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পদ্মবিলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কিন্ডার গার্টনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ বিল্লাল হুসাইন প্রমুখ।
অপরদিকে তিতুদহের গিরীশনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর মোহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হায়দার মল্লিক, কোরআন তেলাওয়াত করেন আল আমিন। দোয়া পরিচালনা কারেন মাও. শিক্ষক আমিরুল ইসলাম। শেষে একটি ৱ্যালি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে পুষ্প্যমাল্য প্রদান করেন।
সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সরোজগঞ্জ তেতুল শেখ কলেজে উদ্যোগে আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৱ্যালি বের করা হয়। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লা শেখ, নির্বহী কমিটির সদস্য আজিজুল হক ৱ্যালিতে নেতৃত্ব দেন। ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের উদ্যোগে আলোচনাসভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ৱ্যালির আয়োজন করা হয়। এছাড়া সরোজগঞ্জ যুগিরহুদা আবুল হোসেন দাখিল মাদরাসার উদ্যোগে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়, সরোজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, শিশু নিকেতন বিদ্যাপীঠ, আননুর ইসলামী একাডেমী, আইডিয়াল কিন্ডারগার্টেন, বেবি নার্সিং হোম ও সরোজগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে মহান মাতৃভাষা দিবস পালন করেছে।
বদরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল ৮টায় সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে চুয়াডাঙ্গার আলিয়ারপুর আজিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল মোতালেবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আ.লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাখাওয়াত হোসেন টাইগার প্রমুখ। বদরগঞ্জ বাকি বিল্লাহ কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে সকাল ৯টায় দোয়া ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
পদ্মবিলা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সুবদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেজুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়াকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নফরকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেলা সদরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শহীদ মিনার থাকলেও পদ্মবিলা ইউনিয়নের কুশোডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার না থাকায় এলাকার জনসাধারণ নানা রকম মন্তব্য করে।
বেগমপুর প্রতিনিধি জানিয়েছে, সকালে দিবসটি পালন করেছে হিজলগাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পতাকা উত্তোলন, ৱ্যালি, আলোচনাসভার মধ্যদিয়ে দিবসটি পালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেগমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী হোসেন জোয়ার্দ্দার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন, এসএমসি সদস্য আকতার হোসনসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও দিবসটি পালিত হয়েছে তিতুদহ, খাড়াগোদা, আড়িয়া দাখিল মাদরাসা, কোটালি, বেগমপুর-যদুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, এ দিবসে আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন, পৌর প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনাসভা, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাদ জোহর শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় সকল মসজিদ, মাদরাসায় মোনাজাত ও মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আলোচনা, চিত্রাঙ্কন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, সহকারী কমিশনার ভূমি আসিফুর রহমান, মৎস্য অফিসার মঈনুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নাজমুল হুদা, উপজেলা প্রকল্প অফিসার মিজানুর রহমান, সমাজসেবা অফিসার আবু তালেব, উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা হোসনে আরা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর ইসলাম, আলমডাঙ্গা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারেছ উদ্দিন প্রমুখ।
অপরদিকে আলমডাঙ্গায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ সকাল সাড়ে ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান কাদির গনু, উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলি মাস্টার, পৌর সভাপতি আবু মুছা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য দান, দুপুরে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, শাহ আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, মহিলানেত্রী শাহেদা খাতুন, রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, পিটিআই ফুটবল মাঠের শহিদ মিনারে নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নীলমণিগঞ্জ, সরিষডাঙ্গা, চাঁদপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এ অঞ্চলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা কালোব্যাজ ধারণসহ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। অনুষ্ঠানে দেশের গান, কবিতা আবৃত্তির আয়োজন করে। উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোর্দ্দারসহ এলাকার সুধীজনেরা। এছাড়া মুন্সিগঞ্জ সৃজনী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ, মুন্সিগঞ্জ নিগার সিদ্দিক ডিগ্রি কলেজসহ মুন্সিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন, এলাকার স্কুলের শিক্ষার্থীরা কালোব্যজ ধারণ করে ৱ্যালি সহকারে ফুল ও ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসে।
ভালাইপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মহান শহীদ দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গার গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান শহীদ দিবসের আলোচনাসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আমির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রথান অতিথি ছিলেন চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জেলা যুবলীগ নেতা জিল্লুর রহমান। অতিথি ছিলেন গোকুলখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহাসিন রেজা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ফরিদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, আব্দুল কুদ্দুস, নাসির হোসেন, আসরাফ হোসেন প্রমুখ।
আলমডাঙ্গার আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে প্রভাতফেরি, শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মহাফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহান শহীদ দিবসের আলোচনাসভায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মআহ্বায়ক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রকিবুল হাসানের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন আসমানখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজুর রহমান লাভলু, খেদের আলী ধুলু বিশ্বাস, ইমদাদুল হক ওদুদ, নিজাম উদ্দিন, নাসির হোসেন, নানবার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক টুলু ও শামীম প্রমুখ।
আলমডাঙ্গার গাংনী ইউনিয়নে গাংনী মোড়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রভাতফেরি ও শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের আবু, আব্দুর রাজ্জাক, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি টোকন, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক রিদয় হোসেন ফারুক ও আরিফ হোসেন।
দামুড়হুদা অফিস জানিয়েছে, বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শহীদ ভাষা সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। আলোচনা শেষে শহীদ ভাষা সৈনিকদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সকাল ৮টায় দামুড়হুদা শহীদ মিনার চত্বরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, কৃষি কর্মকর্তা সুফী মো. রফিকুজ্জামান, আব্দুল ওদুদ শাহ্ কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন প্রমুখ। উপজেলা জামে মসজিদের দোয়া মাফিল অনুষ্ঠিত মো. আব্দুল গফুর।
কুড়ুলগাছি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কুড়ুলগাছি দাখিল মাদরাসা, আনচার প্রি-ক্যাডেট, কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সদাবরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধান্যঘরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুড়ুলগাছি পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঠাকুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় দিবসটি পালন করেছে। কুড়ুলগাছি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ শেষে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
নতিপোতা প্রতিনিধি জানিয়েছন, ৱ্যালিসহ আটকবরে আট শহিদের বেদীতে পুষ্পমাল্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করে নাটুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালসারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটকবর প্রি-ক্যাডেট একাডেমী, নাটুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খলিশাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এছাড়া কলাবাড়ি-রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উম্বাত বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জুড়ানপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হোগলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চারুলিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ কালোব্যাজ পরিধান করে বর্ণাঢ্য ৱ্যালি বের করে এবং পরবর্তীতে স্ব স্ব বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। অপরদিকে বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। এ উপলক্ষে একটি ৱ্যালি বের করা হয়। ৱ্যালিটি বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কার্পাসডাঙ্গা কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কার্পাসডাঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল (বিএ) মাদরাসা, হাদিকাতুল বালিকা মাদরাসারা অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন, বিশ্বাস কিন্ডারগার্টেন, ইসলামিয়া প্রি-ক্যাডেট অ্যান্ড বেবি টিচিং সেন্টার, বাঘাডাঙ্গা এজি আর্শীবাদ স্কুল, জাগরণীচক্র ফাউন্ডেশন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, ঠিকানা, বন্ধু মেলা, কুতুবপুর, তালসারী, নাটুদা, কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যথাযর্থ মর্যাদায় দিনটি উদযাপন করে।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, ভোরে দর্শনা পৌর আ.লীগের কার্যলয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে জাতীয়, দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। দর্শনা সরকারি কলেজ ও দর্শনা জাতীয় দিবস উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে আয়োজনে কেরুজ বাজার মাঠ ও কেরুজ ক্লাব মাঠ থেকে প্রভাতফেরি বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা কলেজ মাঠের শহীদ বেদীতে পুস্পমাল্য অপর্ণ করা হয়। প্রভাতফেরিতে অংশগ্রহণ ও শহীদবেদীতে পুস্পমাল্য অর্পণ যেসকল প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে- দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, দর্শনা পৌর আ.লীগ, দর্শনা জাতীয় দিবস উদযাপন পরিষদ, পৌর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, দর্শনা পৌর বিএনপি, দর্শনা সরকারি কলেজ, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদরাসা, দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, দক্ষিণচাঁদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, অংকুর আদর্শ বিদ্যালয়, লিটিল এনজেলস কিন্ডারগার্টেন, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, মৌচাক, দর্শনা প্রেসক্লাব, শ্যামপুর, পূর্বরামনগর, পরাণপুর, দক্ষিণচাঁদপুর, কাস্টমস, জয়নগর, শান্তিনগর, আজমপুর, পশ্চিমরামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তি ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মোটরশ্রমিক ইউনিয়ন, রিকশা ও ভ্যানশ্রমিক ইউনিয়ন, নির্মাণশ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পৃথক পৃথকভাবে ৱ্যালিতে উপস্থিত ছিলেন- চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের প্রসাশক, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, পৌর আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। দর্শনা জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক মতিয়ার রহমান, ওয়ার্কস পার্টি, জাসদ, যুবলীগ, দর্শনা পৌর বিএনপি।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছেন, এ উপলক্ষে উপজেলা ক্যাম্পাস থেকে প্রভাতফেরি বের করা হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজের নেতৃত্বে প্রভাতফেরিটি পাইলট হাইস্কুলের শহীদ বেদীতে এসে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। মহান একুশ উপলক্ষে আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জীবননগর পাইলট হাইস্কুল, পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, শাপলাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উপজেলা আলিম মাদরাসা, ডিগ্রি কলেজ, প্রভাতী ল্যাবরেটরি স্কুল, ইংলিশ প্রি-ক্যাডেট স্কুল, আশরাফুল মডেল একাডেমী, পৌর কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল, দৌলৎগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আকলিমা প্রি-ক্যাডেট স্কুল, প্রাইড অ্যাকাডেমিক স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রভাতফেরি বের করে। এছাড়াও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজার নেতৃত্বে মিনাজপুর স্কুলে, গয়েশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশীদের ও হাসাদাহ ফাজিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ মাও. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে মহান একুশের কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আন্দুলবাড়িয়া বহুমুখি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনারে বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন। আন্দুলবাড়িয়া বাজার কমিটি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, বাংলাদেশ ওর্য়াকাসপাটি, মোটর মালিক সমিতি, বন্ধু কল্যাণ সংগঠন, বহুমুখি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, হারদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রভাতফেরি শেষে শহীদ মিনারের পুষ্পমাল্য অপর্ণ করেন।
আমঝুপি প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অমর ২১ শিক্ষামেলা ২০১৫’র উদ্বোধন করা হয়েছে। গণসাক্ষরতা অভিযানের সহায়তায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউকও কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ এ মেলার যৌথভাবে আয়োজন করে। মেলার উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা আক্তার বানু। অনুষ্ঠানের মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামিম আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদ হোসেন ও জেলা লোকমোর্চা ও কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিমের সম্পাদনায় প্রকাশিত আমি কতো বোকা বই এর মোড়ক উম্মোচন করেন বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক রফিকুর রশিদ রিজভী। মেলায় পিরোজপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাদ আহাম্মদ।
এদিকে দিবস উপলক্ষে বারাদীতে ওয়েভ ফাউন্ডেশন একটি ৱ্যালি ও শিশুদের মাঝে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তৃণমূল মডেল একাডেমী, মেমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পৃথক শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ শোকৱ্যালি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, শহীদদের প্রতি বিনয় শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। গতকাল শনিবার সকালে সাবেক এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে একটি মিছিল নিয়ে মেহেরপুর শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে পৌছান বিএনপি নেতাকর্মীরা। এ সময় দলের পক্ষে শহীদ মিনার বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করেন তারা। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণে অংশগ্রহণ করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুর রহমান, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ইলিয়াছ হোসেন, পৌর বিএপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, জেলা বিএনপির যুগ্মসম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাংগাঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি আহসান হাবিব সোনা প্রমূখ।
এছাড়া এদিন সকালে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি করে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। সদর উপজেলার আশরাফপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আশরাফপুর অ্যাম্বিশন কোচিং সেন্টার ও আশরাফপুর গ্রাম আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকালে প্রভাতফেরি করে শহীদ বেদী পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে এক আলোচনাসভা ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এদিকে নতুন দরবেশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে পতাকা উত্তোলন শেষে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মাহাবুবুল আলম শান্তির নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে একটি শোকৱ্যালি বের করা হয়। পরে আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে মাহাবুবুল আলম শান্তির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সেভ দ্যা চিনড্রেনের সহসভাপতি খন্দকার এনামুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেভ দ্যা চিনড্রেনের সদস্য সচিব খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম। মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের উদ্যোগে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমন্বয়ে সকালে প্রভাতফেরি করে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে বিদ্যালয় হলরুমে অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
এদিকে মেহেরপুর জেলা জামায়াত আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জামায়াত নেতা মুজিবনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জার্জিস হুসাইনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির মাও. তাজউদ্দিন খান। বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাও. রুহুল আমীন, মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি খান জাহান আলী প্রমুখ। এ সময় জামায়াতের জেলা ও উপজেলা ইউনিটের আমিরগণ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শনিবার প্রথম প্রহর রাত ১২টা ১ মিনিটে মেহেরপুর শহীদ ড. সামসুজ্জোহা নগর উদ্যানে শহীদবেদীতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসক, পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি জেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী শামীম আরা হীরা, জেলা ও উপজেলা কৃষক লীগের পক্ষে সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি জাফর ইকবাল এবং জেলা জাতীয় পার্টির (এরশাদ) পক্ষে সভাপতি আব্দুল হামিদ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোসলেম আলী, প্রচার সম্পাদক মামলত হোসেন শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর যৌথ উদ্যোগে সকালে বিটিভির সঙ্গীত পরিচালক আশরাফ মাহমুদের পরিচালনায় শহরের বিভিন্ন সড়কে স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ সঙ্গীত পরিবেশন এবং সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দুপুরে জেলা শিশু একাডেমীতে শিশুদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বারাদী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। পরে বিদ্যালয় চত্বরে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সোহেল রানা। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সভপতি শামীম ফেরদৌস। অপরদিকে মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একই কর্মসূচি পালন করা হয়।
গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দিবসটি উপলক্ষে সকালে গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৱ্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে ৱ্যালিটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। আলোচনাসভায় উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন এমপি মকবুল হোসেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মুকুল, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুর জাহান বেগম, শহীদ স্মৃতি পাঠাগারের সহসভাপতি ইয়াছিন রেজাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকবৃন্দসহ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এর আগে এমপি মকবুল হোসেন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়াও এ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একুশ উদযাপন করা হয়।
এদিকে একুশের রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বর শহীদ মিনারের বেদিতে বিএনপির পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুরাদ আলী, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামানসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান আমজাদ হোসেন।
মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সকাল ৭টায় মুজিনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরুন কুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর থেকে প্রভাতফেরি শুরু করে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। ৱ্যালি শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামানায় দোয়া করা হয়। সমাজসেবা অফিস চত্বরে আলোচনাসভায় প্রকল্প ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অতিথি বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তৌফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএস অফিসার নন্দ দুলাল মহন্ত, সাংবাদিক শেখ সফি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন অপি অফিসার ঝর্ণা খাতুন।