যশোর মনিরামপুরে বন্দুকযুদ্ধে দু বিএনপি কর্মী নিহত

স্টাফ রিপোর্টার: যশোরের মনিরামপুরে ফের পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে দু বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে বেগারিতলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- জয়পুর নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আবু সাঈদ ও বজলুর রহমান। পরিবারের দাবি, তাদেরকে আটক করার পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ জানায়, নিহতরা জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। বন্দুকযুদ্ধে ৪ পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

এ নিয়ে ১৫ দিনে যশোরে বন্দুকযুদ্ধ ও ট্রাকচাপায় ৬ বিএনপি-জামায়াত কর্মী নিহত হলেন। বিশেষ করে মনিরামপুরের বেগারিতলায় এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে। জায়গাটি নির্জন হওয়ায় এখানে বেশি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রত্যেকটি ঘটনায়ই পুলিশ ও নিহতের স্বজনদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। স্বজনদের দাবি, আটকের পর গুলি করে হত্যা। অন্যদিকে পুলিশের দাবি বন্দুকযুদ্ধে নিহত।

এদিকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লক্ষ্মীপুরে মো. নজরুল ইসলাম নামে এক যুবদল নেতা এবং রাজশাহীতে শিবির ক্যাডার গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল জানান, পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ ও বজলুর রহমান বিএনপির কর্মী। তাদেরকে আটকের পর গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার বিকালে পুলিশ ৬ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে চারজনকে ছেড়ে দেয়। কিন্তু কেন কী কারণে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হল আমরা জানতে পারিনি। এটা অমানবিক ঘটনা। একই দাবি করেছেন নিহতদের স্বজন সুরাইয়া আক্তার ও আলমগীর হোসেন।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র সহকারী পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, আবু সাঈদ ও বজলুর রহমান জামায়াত কর্মী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ জয়পুর গ্রাম থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বুধবার ভোরে বেগারিতলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় তাদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে দুপক্ষের বন্দুকযুদ্ধে সাঈদ ও বজলুর নিহত হন। আহত হন মনিরামপুর থানার এসআই তাসনিম ও ৩ পুলিশ কনস্টেবল। ঘটনাস্থল থেকে ১টি ওয়ানশুটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৯টি হাতবোমা ও ১২টি পেট্রোলবোমা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে মনিরামপুর থানায় নিয়ে যায়। তিনি জানান, তারা বেশ কয়েকটি মামলার আসামি।

এর আগে ৩ ফেব্রুয়ারি বেগারিতলায় ট্রাকচাপায় বিএনপির দু কর্মী ইউসুফ আলী ও লিটন নিহত হয়েছেন। পরিবারের দাবি, আটকের পর পুলিশ পিটিয়ে হত্যা করে ট্রাকচাপা দিয়েছে। তবে পুলিশ দাবি করে, তারা পেট্রোলবোমা ছুড়তে গিয়ে ট্রাকচাপায় নিহত হয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি যশোর-খুলনা মহাসড়কের রামনগর পিকনিক কর্নারের কাছে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে জামায়াতকর্মী শহিদুল ইসলাম নিহত হন। ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে যশোর-খুলনা মহাসড়কের মুড়লি রেলক্রসিং এলাকায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে রাজু নামে এক যুবক নিহত হন।

Leave a comment