তীরে এসে তরী ডুবলো বাংলাদেশ ফুটবল দলের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফাইনালে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে গেল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে ২-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ২টি গোল পরিশোধ করায় বাংলাদেশ শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করতে এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও স্টেডিয়ামে ছুটে আসেন। কিন্তু খেলার অতিরিক্ত সময়ে (৯২ মিনিট) মোহাম্মদ ফাইজাতের গোলে হেরে যায় বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন হয় মালয়েশিয়া।

খেলার ৩২ মিনিটে সরাসরি ফ্রি কিকে ৪০ মিটার দূর থেকে প্রথম গোলটি হয়। গোলটি ছিলো অসাধারণ। দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে বাংলাদেশের জাল কাঁপান মালয়েশিয়ার অধিনায়ক নাজিরুল। নয়নকাড়া এ ডিফেন্ডারের বাঁকানো শট অনেক ওপরে লাফ দিয়েও রক্ষা করতে পারেননি বাংলাদেশের গোলরক্ষক শহিদুল। এর ৮ মিনিটের ব্যবধানে মালয়েশিয়া লিড নেয় ২-০ গোলে। বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে এ গোলটি করেন মালয়েশিয়ার ভারতীয় বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় কুমারান। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে এসে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ২টি গোল পরিশোধ করে খেলায় ফিরে আসে। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে দেশ সেরা স্ট্রাইকার জাহিদ হাসান এমিলি গোল করে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দেন। ৫৩ মিনিটে ইয়াসিনের দৃষ্টিনন্দন হেডে গোলে করে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। স্টেডিয়ামে উপছে পড়া দর্শকদের আনন্দের ঢেউ সারা দেশে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ আনন্দ আর থাকেনি দর্শকদের। খেলার অতিরিক্ত সময়ে করা মালয়েশিয়ান স্ট্রাইকার ফাইজাতের গোলে লাল সবুজের সব স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ। রানার্সআপের সান্ত্বনা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার শিরোপা লড়াই শুরু হয়। ১৬ বছর পর আয়োজিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের শুরু ও শেষ। দুটি ম্যাচের প্রতিদ্বন্দ্বী একই দল। বাংলাদেশ দল খেলায় ফিরে আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে প্রবেশ করেন। তার সাথে রয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিত, প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা।

Leave a comment