চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লায় চা দোকানের অদূরে রাস্তার পাশে ডেকে নিয়ে নৃশংসতা
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ভিমরুল্লা ফকিরপাড়ার রাবি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাজু আহমেদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে ভিমরুল্লায় ডেকে নিয়ে রাস্তার পাশে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করা হয়। গতরাতেই রাজুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
রাজুসহ স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছে, ভিমরুল্লার পুটে মণ্ডলের ছেলে রানা রাস্তার পাশে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। মুখে, বাম হাতেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে হামলাকারী সরে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রাজুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা অথবা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। রাতেই রাজু আহম্মেদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে নেয়া হয়েছে।
কেন কুপিয়ে জখম? এ প্রশ্নের জবাবে রাজুসহ স্থানীয়রা বলেছে, রানার সাথে ফকিরপাড়ার এক মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দাম্পত্য বিচ্ছেদ ঘটে। পুনরায় রানা তার প্রাক্তন স্ত্রীকে নিতে চায়। ওই স্ত্রীর সাথে রাজু মোবাইলফোনে কথা বলে অভিযোগ তুলে আতিকুর রহমান নামের একজনকে মোবাইলফোন দিয়ে ভিমরুল্লার চায়ের দোকানে ডেকে নেয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কথা আছে বলে রাস্তার পাশে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করে। রাজু আহমেদ অবশ্য বলেছে, রানার প্রাক্তন স্ত্রী আমার বান্ধবী। একসাথে লেখাপড়া করেছি। বান্ধবী হিসেবে হয়তো কথা হয়েছে। অথচ অন্যায়ভাবে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়েছে।
জানা গেছে, ফকিরপাড়ার কুড়োন বিশ্বাসের ছেলে রাজু আহমেদ (২৪) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। দিন ১৫ আগে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে। আজই তার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার কথা ছিলো। এরই মাঝে গতকাল তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হলো।