চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার প্রস্ততিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

বছর পরীক্ষার্থী ১০ হাজার ৭৭৬ জন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ২০১৫ সালের এসএসসি, দাখিল, এসএসসি ভোকেশনাল ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা, নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ ও পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইলফোন প্রবেশ নিষেধসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শুরু হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় এ বছর মোট ১০ হাজার ৭৭৬ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় ১৬টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৯৭০ জন, এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় ৬টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৩৮ জন ও এসএসসি দাখিল পরীক্ষায় ৫টি কেন্দ্রে ১ হাজার ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মল্লিক সাঈদ মাহবুব, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুন উজ্জামান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. বদিউজ্জামান, সহকারী কমিশনার সৈয়দা নাফিস সুলতানা, সোনিয়া হাসান, মুশফিকুল আলম হালিম, জেসমিন নাহার, আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান, ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কিশোরী মোহন সরকার, আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পূর্ণিমা রাণী সাহা, জীবননগর থানা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমার প্রামাণিক, দামুড়হুদা পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরজাহান খাতুন, শিক্ষক অভিভাবক ফোরামের সম্পাদক আব্দুল মোত্তালিব ও প্রেসক্লাব সভাপতি মাহতাব উদ্দিনসহ চার উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

প্রস্তুতিসভায় জেলা প্রশাসক মো. দেলোয়ার হোসাইন বলেন, প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রথমবারের মতো প্রশ্নপত্র ব্যাংকের পরিবর্তে থানায় সংরক্ষণ করা হবে। একই বেঞ্চে দুজনের বেশি শিক্ষার্থীকে বসানো যাবে না। নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষার হলে পরীক্ষকরা কোনো প্রকার শৈথিল্য প্রদর্শন করলে পরীক্ষার্থীর চেয়ে পরীক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ফাঁস হচ্ছে এমন খবর কেউ পেলে প্রশাসনকে জানাতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশপাশে পরীক্ষা চলাকালীন ফটোকপির দোকান বন্ধ রাখতে হবে। বোরকাপরা পরীক্ষার্থী সঠিক কি-না তা মহিলা শিক্ষক দ্বারা পরীক্ষা করে নিতে হবে। মোবাইলফোন নিয়ে কেউ কেন্দ্রে আসবেন না। মোবাইলফোন সিজ করা হবে। ফেরত পাবেন না।