গাংনীতে চোর-দুর্বৃত্তদের আনাগোনায় আতঙ্ক বাড়ছে!

গাংনী প্রতিনিধি: এক সময়ের রক্তাত্ব জনপদ হিসেবে কুখ্যাতির মেহেরপুর গাংনী উপজেলায় আবারো ছড়িয়েছে আতঙ্ক। গাংনী শহরসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে চোর ও দুর্বৃত্তদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনা। এলাকাবাসী এমনটি জানিয়ে দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাংনী শহরের শিশিরপাড়া, চৌগাছা, থানাপাড়া ও ঈদগাহপাড়াসহ বিভিন্ন পাড়ায় প্রতিদিনই ছোটখাটো চুরি সংঘটিত হচ্ছে। ছিচকে চোরের উপদ্রব বাড়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গৃহমালিকরা। ঘরগৃহস্থলির মালামাল চুরির পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন স্থানে বাইসাইকেলসহ নানান জিনিসপত্র চুরি যেন নিত্যনৈমত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর।

গত সোমবার ভোর রাতে গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলামের চৌগাছার বাস ভবন থেকে একটি পালসার মোটরসাইকের চুরি হয়। গৃহকর্তা জানান, তিনি ঢাকা থেকে ভোরে বাড়ি ফিরে দেখেন বাড়ির গেটের তালা ভাঙা। দুর্বৃত্তরা গেটের তালা ভেঙে একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় এবং আরেকটি মোটরসাইকেল বাড়ির অদূরে ফেলে যায়। প্রতিবেশীর বরাত দিয়ে মজিরুল ইসলাম আরো জানান, ১৪/১৫ জনের সশস্ত্র একটি দল রাত তিনটার দিকে তার বাড়ির আশেপাশে অবস্থা নেয়। পরে ভোরের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের ধারণা মোটর সাইকেল চুরি নয় বড় ধরণের কোন অপরাধ সংঘঠিত করার লক্ষ্যে তারা এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীসহ আশেপাশের লোকজনের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।

এদিকে বুধবার দিনগত রাত বারটার দিকে চৌগাছা বড় মসজিদ এলাকায় কয়েকটি বোমার বিষ্ফোরণ হয়। ফাঁকা স্থানে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণের ঘটনায় ঘুম ভাঙ্গে এলাকার মানুষের। এতে চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালেও বিস্ফোরণকারীদের হদিস পায়নি। মধ্যরাতে কি উদ্দেশে এ বিষ্ফোরণ তা বুঝতে পারছেন না এলাকাবাসী। তবে পুলিশ বলছে আতংক সৃষ্টির লক্ষ্যে দুর্বৃত্তরা পটকা জাতীয় কোন কিছুর বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। তবে কেন এ আতঙ্ক সৃষ্টির পাঁয়তারা? এমন প্রশ্ন ওই এলাকার বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে আরো জানা গেছে, চৌগাছাসহ আশেপাশের এলাকায় প্রতিদিনই কিছু অপরিচিত লোকজনের আনাগোনা লক্ষ্য করছেন এলাকাবাসী। তারা কারা এবং কি উদ্দেশ্যে এই আগমন তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে জনমনে। বুধবার রাতের বিষ্ফোরণের ঘটনা এবং অপরিচিত লোকজনের আনাগোনায় আতংকিত হয়ে পড়েছে গোটা এলাকা। গত দুদিন ধরে সন্ধ্য হলেই অজানা আশংকায় পথঘাটে মানুষ চলাচলও সীমিত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শংকা নিয়ে বিছানায় যাচ্ছেন এলাকার মানুষ। মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার শেখ জানান, অনাকাঙ্খিত ঘটনাগুলো এড়াতে পুলিশের ব্যপক তৎপরতা রয়েছে। এলাকায় শান্তি বজার রাখতে যা যা করার দরকার তাই করছে পুলিশ।

Leave a comment