খেলতে গিয়ে প্রাণ গেলো যাদের

মাথাভাঙ্গা মনিটর: একটি ১৬৪ গ্রামের শক্ত বল ছুটে আসছে তোমার দিকে।। ১২০/১৩০ km/H গতিতে। আমাদের কাছে জিনিসটা তেমন কিছুই মনে হচ্ছে না। ভাবি হেলমেটতো আছেই। কিন্তু হেলমেট পরলেই কেউ পুরোপুরি নিরাপদ নয়। প্রমাণ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউস। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলস ও সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ম্যাচে পেসার শন অ্যাপটের শর্ট বলে হুক করতে গিয়ে হেলমেটের পাশে বলের আঘাত পান হিউস। তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সেন্ট ভিনসেন্টস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তার মাথায় অস্ত্র পাচারের পরও তাকে বাঁচানো যায়নি। গতকাল বৃহস্পতিবার মারা গেছেন তিনি। তবে ক্রিকেট মাঠে চোট পাওয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার উদাহরণ এটাই প্রথম নয়। এর আগে ক্রিকেট মাঠে চোট পেয়ে অনেক ক্রিকেটার আর আম্পায়ারের মৃত্যু হয়েছে।

ড্যারিন ৱ্যান্ডাল (দক্ষিণ আফ্রিকা) ২০১৩ ৩২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় পুল করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান। আঘাত পাওয়ার পর ক্রিজে পড়ে যান ৱ্যান্ডাল এবং দ্রুতই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আর সুস্থ হয়ে ফেরা হয়নি। রিচার্ড ব্যুমন্ট (ইংল্যান্ড), ২০১২ ক্লাব ম্যাচে ৫ উইকেট নেয়ার পর মাঠে লুটিয়ে পড়েন ইংল্যান্ডের ৩৩ বছর বয়সী ফাস্ট বোলার রিচার্ড ব্যুমন্ট। ধারণা করা হয় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি। ওয়াসিম রাজা (পাকিস্তান), ২০০৬ পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান কাউন্টি দল সারের হয়ে খেলার সময় মারা যান। আইসিসির সাবেক ম্যাচ রেফারি মারা যান হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে। আলক্সউইন জেনকিন্স (ইংল্যান্ড), ২০০৯

                ইংল্যান্ডের ৭২ বছর বয়সী এ আম্পায়রের মাথায় এক ফিল্ডারের থ্রো করা বল আঘাত হানে। সোয়ানসিতে একটি লিগ ম্যাচ পরিচালনা করছিলেন তিনি। তাকে আকাশপথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। ইয়ান ফোলি (ইংল্যান্ড), ১৯৯৩ ঘরোয়া ক্রিকেটের এক ম্যাচে হুক শট খেলতে গিয়ে চোখের নীচে আঘাত পান ইংল্যান্ডের ৩০ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার। হাসপাতালে অনুভূতিনাশক দেয়া অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান তিনি।

রমন লম্বা (ভারত), ১৯৯৮ ঢাকাতে একটি ক্লাব ম্যাচে শর্ট লেগে ফিল্ডিং করছিলেন ভারতের ৩৮ বছর বয়সী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রমন লম্বা। বল এসে তার মাথায় আঘাত করে। ব্রেইনের চোটের কারণে পড়ে হাসপাতালে মারা যান তিনি। উইলফ স্ল্যাক (ইংল্যান্ড), ১৯৮৯ গাম্বিয়ার রাজধানী বানজুলে ব্যাটিং করার সময় হঠাৎই লুটিয়ে পড়েন মিডলসেক্স ও ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উইলফ স্ল্যাক।

আব্দুল আজিজ (পাকিস্তান), ১৯৫৯ করাচিতে ঘরোয়া ক্রিকেটের এক ম্যাচে ব্যাট করতে গিয়ে বুকে বল লাগে পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক আব্দুল আজিজের। হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

অ্যান্ডি ডুক্যাট (ইংল্যান্ড), ১৯৪২ লর্ডসে একটি ম্যাচ খেলার সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান ইংল্যান্ডের হয়ে একটি টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যান ৫৬ বছর বয়সী অ্যান্ডি ডুক্যাট।

জর্জ সামার্স (ইংল্যান্ড), ১৮৭০ লডর্সে এমসিসির বিপক্ষে নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে ব্যাট করার সময় মাথায় আঘাত পান জর্জ সামার্স। কিছুদিন পর তিনি মারা যান।