স্টাফ রিপোর্টার: আগামী বছর হজে যেতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে টাকা জমা দিতে হবে। ৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় হজ প্যাকেজ অনুমোদন পেতে পারে। এবার হজের রেজিস্ট্রেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে অনলাইনে। এছাড়া প্রতারণার সাথে জড়িত হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে হজ সংক্রান্ত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
অন্যান্যবারের চেয়ে এবার অনেকটাই আগেভাগে হজ কার্যক্রম শুরু করার কারণ সম্পর্কে ধর্ম সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান বলেন, সৌদি সরকার এবার পুরোপুরি ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে হজ ব্যবস্থাপনা সম্পন্ন করবে। সেজন্য আমাদের সার্বিক কার্যক্রম দু মাস এগিয়ে আনতে হচ্ছে। ফলে আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত টাকা জমা দেয়াসহ হজের কার্যক্রম চলবে। এবার হজযাত্রীদের এমআরপির (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। হজের পুরো কার্যক্রম এবার অনলাইন পদ্ধতিতে সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে প্রতারণার সাথে জড়িত এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে তা জানতে চাইলে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেবো। লাইসেন্স বাতিল, জরিমানা করাসহ যা যা করা দরকার আমরা তা করব। চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে কতোজন ফিরে আসেননি জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সৌদি সরকারের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আমরা এ সংখ্যা জানতে পারবো।
ধর্মসচিব বলেন, হজ কার্যক্রম যাতে বিঘ্নিত না হয় সেজন্য রেজিস্ট্রেশন পর্যায়ে হজযাত্রীদের মোয়াল্লেম ফিসহ (সৌদি সরকারের নির্ধারিত) আরও কিছু ফি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। যাতে এজেন্সিগুলো ওই ধরনের (প্রতারণা) সুযোগ আর না নিতে পারে। আমরা ভিসা দিয়ে দেই, তারা (এজেন্সি) পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে সরকার টাকা পরিশোধ করে হাজি পাঠায়। চলতি বছর সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে দেশ থেকে ৯৮ হাজার ৬০৫ জন হজ পালন করেছেন।