ঝিনাইদহ অফিস: দেশের সংবিধান অনুযায়ী হিন্দু নারীদের সামাজিক ও পারিবাকি সম্পত্তি সমধিকার, মানবধিকার এবং শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবিতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু নারী অধিকার প্রচেষ্টা নামের একটি নারী সংগঠন। শনিবার বিকেলে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুশ্রী দত্ত পাপিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- হিন্দু নারী অধিকার প্রচেষ্টার অন্যতম সদস্য অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক রবীন্দ্রনাথ ভদ্র, মুক্তি রানী বিষ্ণু ও নমিতা ভদ্রা। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- এশিয়ান ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরিয়ান ঢাকা কসমোপলিটন রোটারি ক্লাবের সদস্য, সনাতন সমাজ কল্যাণ সংঘের সভানেত্রী ও সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুশ্রী দত্ত পাপিয়া।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আবহমানকাল থেকে এ উপমহাদেশের নারীরা অধিকার থেকে বঞ্চিত। নারীরা অনেকটা জলে ভাসা কচুরিপানারমতো। নারীরা সম্পত্তির অধিকার তথা পিতা অথবা স্বামীর সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশের সংবিধানে নর-নারীর সমধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৮১ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে সিডিও দিবস পালন করে আসছে। কিন্তু হিন্দু সমাজে নারীদের সমধিকার প্রচলিত নয়। কিছু সংখ্যক পশ্চাতপদ মানুষের সেকেলে ধ্যান ধারনার জন্য নারীরা আজও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। সনাতন পদ্ধতি অনুযায়ী হিন্দু সমাজের নারীরা এখনো ভাসমান। তিনি বলেন, নারীরা হিন্দু জনগোষ্ঠীর অর্ধেক। তাদেরকে অধিকার বঞ্চিত করে অন্ধকারে রেখে সকল মানবকূলকে আলোয় ভরে দেয়া যাবে না। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও হিন্দু নারীরা বাবা ও স্বামীর সম্পদের অধিকার প্রাপ্ত। তাহলে বাংলাদেশে কেন হিন্দু নারীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, হিন্দু নারীরা অন্য ধর্মের কাউকে বিয়ে করলে সম্পত্তির অধিকার থেকে বঞ্চিত হয় যা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। সমতার ভিত্তিতে হিন্দু নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা আজ সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করেন। তিনি দেশের হিন্দু নারী সমাজের প্রত্যেককে অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেন এ নারী সংগঠক।