সাকিব জাদুতেই নাকাল জিম্বাবুয়ে

স্টাফ রিপোর্টার: স্লিপ থেকে দৌড়ে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচটা হাতে নিলেন সামসুর রহমান শুভ। সতীর্থরা তখন বোলার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে উত্সব করতে ব্যস্ত; কিন্তু দৌড় এতোটুকু না থামিয়ে ছুটতে ছুটতেই আম্পায়ারের হাতে বল ছুঁড়ে দিয়ে সোজা মাঠ পার করে ড্রেসিঙে রুমে চলে গেলেন শুভ। শুভর দৌড় দেখে মনে হতে পারে সময়ের খুব অভাব তার, আজই হারিয়ে দিতে হবে জিম্বাবুয়েকে। না, হারিয়ে দেয়ার মতো জায়গায় এখনো যায়নি বাংলাদেশ। তবে সাকিব আল হাসানের অসাধারণ বোলিঙে প্রথম দিনেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরেই ৫৯ রান খরচায় নিলেন ৬ উইকেট। সাকিব জাদুতেই প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৪০ রানে অলআউট হয়ে গেছে জিম্বাবুয়ে। তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন খেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৭ রান। শেষ বিকেলে বাংলাদেশ যখন ব্যাটিঙে নামে তখন মুশফিকদের প্রধান লক্ষ্য হওয়ার কথা ছিলো বিনা উইকেটে দিনটা কাটিয়ে দেয়া। তবে লক্ষ্যে বাদ সাধেন তামিম ইকবাল। পানায়াঙ্গারার বলটা তামিমের গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে, কিপারের গ্লাভসে। বাকী দিনটা অবশ্য মুমিনুল ও সামসুর রহমান নির্বিঘ্নেই কাটিয়ে দিয়েছেন। সবাই অনুমান করেছিলেন স্বাগতিকদের পক্ষে লড়াইটা হতে যাচ্ছে স্পিনারদেরই লড়াই; কিন্তু শুরুটা করে দিয়েছিলেন আরেক ‘কামব্যাক হিরো’ ফাস্ট বোলার শাহাদাত হোসেন। এই ফাস্ট বোলার বেশ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেই গতকাল বোলিং করলেন। দিনের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই জিম্বাবুয়ের ওপেনার ভুসিমুজি সিবান্দাকে ফিরিয়ে দিয়ে প্রথম আঘাতটা আনেন শাহাদাত। তবে পেসারদের গল্প ওইটুকুই। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের বাকীটা জুড়েই ছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের গল্প। জিম্বাবুয়ের বাকী ৯টি উইকেটই তুলে নিয়েছেন স্পিনাররা, যার ছয়টিই সাকিবের। অভিষিক্ত জুবায়ের হোসেন লিখন ২টি এবং আগের সিরিজে অভিষিক্ত তাইজুল নিয়েছেন ১টি উইকেট। শাহাদাতের পর জিম্বাবুয়েকে দ্বিতীয় ধাক্কাটা দেন সাকিব। ফেরান অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হ্যামিলটন মাসাকাদজাকে। শেষের বাকি সব উইকেটই সাকিবের। এ দাপট ধরে রেখেই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কামুঙ্গোজির উইকেট তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ করে দেন দেশ সেরা এ অলরাউন্ডার।