বহুল আলোচিত চুয়াডাঙ্গা বুজরুকগড়গড়ির মাদক ব্যবসায়ীর বাড়িতে থানা পুলিশের অভিযান
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বহুল আলোচিত মাদক কারবারী বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার শিপরা এবার হেরোইন, ফেন্সিডিলের সাথে দেশীয় তৈরি শাটারগান ও গুলিসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তার সাথে গ্রেফতার করা হয়েছে শিপরার স্বামী বাবুল ও ক্রেতা শাহ আলম। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে শিপরার বাড়িতে অভিযান চালায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাধীন বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ার বাবুলের স্ত্রী জেলার সবচে শীর্ষ মাদক কারবারী ও বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। ইতঃপূর্বে সে চুয়াডাঙ্গার হকপাড়া, শান্তিপাড়া ও মুসলিমপাড়ায় মাদকের ব্যবসা করতো। মাদকের ব্যবসা করার কারণে স্থানীয়রা তাকে মাদক সম্রাজ্ঞী বলে চিনতো। এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে তাকে উচ্ছেদ করে। এরপর বুজরুকগড়গড়ি বনানীপাড়ায় গিয়ে বসবাস ও মাদক ব্যবসা শুরু করে কয়েক বছর আগে। বাবুল তার বয়সে ছোট হওয়ার পরও শিপরা তার সাথেই বিয়ে করে। বাবুল নিজেও মাদকসেবী। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ খবর পায় শিপরার বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি রয়েছে। এমন সংবদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই কাজী নাসিরুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন অফিসার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান শুরু করেন। এ সময় শিপরা, তার স্বামী বাবুল ও একই পাড়ার মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে শাহ আলম বাড়িতে অবস্থান করছিলো। এসময় শিপরার বাড়ি তল্লাশি করে ৬২ পুরিয়া হেরোইন, ২৪ বোতল ফেনসিডিল, ২টি দেশীয় তৈরি শাাটারগান, ২ রাউন্ড গুলি ও নগদ ৫ হাজার ১০টাকা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এসআই কাজী নাসিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদক ও অস্ত্র মামলা দায়ের করেছে। মামলার বাদী জানান শিপরা ও বাবুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা ও আদালতে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। শাহ আলমের বিরুদ্ধে একটা হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি মাদকের মামলা রয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোর্পাদ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মুন্সি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা শিপরার গতিবিধি ফলো করে আসছিলাম। আটককৃত শিপরার বিরুদ্ধে একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। অনেক মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। পূর্বে সে মাদকের ব্যাবসা করলেও বর্তমানে সে মাদকের পাশাপাশি অস্ত্রেরও ব্যবসা করছিলো। শিপরার অন্যান্য ব্যাবসায়িক সহযোগীদের ধরতে সদর থানা পুলিশের নানামুখি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।