দামুড়হুদা প্রতিনিধি: মিথ্যা তথ্য দিয়ে পাওয়া চাকরি বাঁচাতে দামুড়হুদার পরিবার কল্যাণ সহকারী বিপাশা খাতুনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী বলেছে, চাকরি বাঁচাতে তিনি একের পর এক মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে চলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এবার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায় স্বামী মকলেছুর রহমানের নামে ৩ বছর আগের জমি ক্রয়ের ভুয়া বায়নানামা দাখিল করেছেন। তিনি গত ২৭ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব বরাবর প্রেরিত কারণ দর্শানো পত্রের সাথে ওই ভুয়া বায়নানামা দাখিল করেন। এ বিষয়ে বায়নানামায় স্বাক্ষরকারীরা জানান, আমরা এ বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না। অনুমান ৮/৯ মাস আগে বিপাশার পিতা শামসুল মিয়া জামাইয়ের নামে ২ শতক জমি বায়নানামা করবে বলে আমাদের স্বাক্ষর নিতে চাইলে আমরা স্বাক্ষর করে দিই। তবে ৩ বছর আগের কোনো বায়নানামায় আমরা স্বাক্ষর করিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় বছর খানেক আগে দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে ওয়ার্ডভিত্তিক পরিবার কল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ পেতে শর্ত ভেঙে স্বামীর ঠিকানার বদলে পিতার ঠিকানা দেখিয়ে সরকারি চাকরি নেন কুড়ুলগাছি গ্রামের সেনাসদস্য মকলেছুর রহমানের স্ত্রী বিপাশা খাতুন। বিষয়টি জানতে পেরে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অপর চাকরি প্রত্যাশী দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের ফকিরপাড়ার বদর উদ্দিনের মেয়ে সাহিদা সুলতানা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে শুরু করেন বিভাগীয় তদন্ত। এরই আলোকে গত ১০ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিপাশাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। এর জবাব দিতে গিয়ে আবারও মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন বলে অভিযোগ।