ঝিনাইদহে যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগের পাল্টাপাল্টি হামলা : ৫ নেতাকর্মী আহত

 

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ শহরে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জেলা যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান সুজন মেম্বার ও আওয়ামী লীগ নেতা তপন, ছাত্রলীগকর্মী অমিত ও শিপনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চাঁদাবাজি বন্ধ করা নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর শহরের মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শিল্পকলা ভবন এলাকায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের মেম্বার সুজনকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষরা। ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ভাতিজা রাসেলের নেতৃত্বে ৯/১০ জন দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায় বলে আহত সুজন অভিযোগ করেন। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে রাসেল ও তার সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করতো। জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তারা হামলা চালিয়েছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন, যুগ্মআহ্বায়ক রাশিদুর রহমান রাসেল ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত সাহা মিথুনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের অগ্রণী চত্বরে এসে পৌঁছুলে সেখানে চাকলাদার পরিবহন কাউন্টারে বসে থাকার সময় ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন, ছাত্রলীগকর্মী শিপন ও অমিতসহ চারজনকে আহত করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের উদ্ধার করে তিনজনকে সদর হাসপাতালে ও একজনকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক শাহরিয়ার রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন জানান, যুবলীগ নেতা সুজনের ওপর হামলাকারীদের শুক্রবার সকাল ১০টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে শহরে হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এদিকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ পাল্টাপাল্টি হামলার পর উভয় গ্রুপ শহরের বিভিন্ন পাড়ায় দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই শামসুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে গতরাত ১টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।