টোকনের জবাই করা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার : ময়নাতদন্ত শেষে দাফন

 

দামুড়হুদা কলাবাড়ির ছেলে বিয়ের পর থেকেই থাকতো মেহেরপুরের নতুন দরবেশপুরে

 

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদা কলাবাড়ির টোকনের (৩২) জবাই করা রক্তাক্ত লাশ গতকাল বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে পুলিশ। আলমাডাঙ্গার খাদিমপুর বটিয়াপাড়া বটতলা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকালই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালমর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ গ্রামে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

কলাবাড়ির টোকন মেহেরপুরের নতুন দরবেশপুরে নূর ইসলামের মেয়ে আছিয়া খাতুনকে আনুমানিক ১৫ বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের পর নতুন দরবেশপুরেই বসবাস শুরু করে টোকন। তার রয়েছে এক মেয়ে। মেয়ে মিতা ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের সদস্যরা এ তথ্য দিয়ে বলেছেন, গত ৬ মাস আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে বের হয়। মাঝে মাঝে শ্বশুরবাড়ি ফিরলেও কোথায় কী করে বেড়াতো তা সে বলতো না। পুলিশ অবশ্য বলেছে, টোকন অস্ত্রধারী গ্যাঙের সদস্য। আভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যামামলা রুজু করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের মসলেম আলীকে ইটভাটায় নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়। ওই সময় টোকন ছিলো ছোট। এলাকাসূত্র এ তথ্য দিয়ে বলেছে, মসলেম আলীর মৃত্যুর পর থেকে তার তিন ছেলেই দিশেহারা হয়ে পড়ে। বড় ছেলে মিজান বাড়িতে থাকলেও অপর দু ছেলে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতে থাকে। টোকনকে এলাকায় তেমন দেখা মিলতো না। নতুন দরবেশপুরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করে বলেই নিজ গ্রাম কলাবাড়ির লোকজন জানতো। গতকাল পত্রিকায় ‘মধ্যরাতে মোবাইলফোনে খুনের খবর’ শীর্ষক প্রতিবেদন পড়ে গ্রামের সাধারণ মানুষ যেমন বিষয়টি জানতে পারেন, তেমনই পুলিশও ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে। পরশু রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি নিজেকে লাল পতাকার দাদা বাবু বলে পরিচয় দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের তথ্য জানায়। পত্রিকায় খবর পড়ে নতুন দরবেশপুর থেকে তার স্ত্রী সন্তানসহ নিকটজনেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। লাশ দেখে শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ গ্রহণ করে নিজ গ্রামে নিয়ে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

Leave a comment