কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিরতণ অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান

 

কার্ডটি জাতীয় পরিচয়পত্রের মতোই অমূল্য সম্পদ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিরতণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলা হলরুমে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলার চেয়ারম্যান হাজি আসাদুল হক বিশ্বাস। এ সময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষক ও কৃষিকাজে উন্নয়নের জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ও আগামী ২০৪২ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। কৃষকদের কথা ভেবে সরকার তাদের কৃষি সহায়তা কার্ড দিচ্ছে। যার মাধ্যমে তারা কৃষি উপকরণ পাবেন। এ কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংকে ১০ টাকার বিনিময়ে একাউন্ট খুলতে পারবেন। কার্ডটি জাতীয় পরিচয়পত্রের মতোই অমূল্য সম্পদ, তা কখনো যেন নষ্ট বা হারিয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখার বিষয়ে সচেতন করেন। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কেএম মামুন উজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক হযরত ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কোহিনুর বেগম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামান। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মালেক শিকদার, কৃষক তাহাজউদ্দিন মন্ডল প্রমুখ। পরে কৃষকদের মাঝে কৃষি সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শারমিন আক্তার।

 

ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের ওপর হামলা : অভিযুক্ত রাকুর প্রতিবাদ বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগ নেতা হিমেলসহ তার কয়েকজন সহকর্মীর ওপর হামলার বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাকিবুর রহমান রাকু। তিনি এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়ে বেশ কয়েকটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

রাকিবুর রহমান রাকু বলেছেন, আমি শিশু স্বর্গের পাশে হুগলাতলা খ্যাতবাগানে দীর্ঘদিন দিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করে তা পরিচর্যার পাশাপাশি চাষাবাদ করে আসছি। গাছ ও ক্ষেত পাহারার জন্য টিনের ছাউনি দিয়েছি। প্রহরী হিসেবে প্রশান দেবনাথকে রাখা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট রাতে হিমেল, রিফাত, শিমুল, সোহেল, জনি, ফরজ, জহুরুল দু নারী নিয়ে নৈশপ্রহরীকে বেঁধে রেখে রঙ্গলীলা করে। পরদিন সকালে বিষয়টি শুনে হিমেলকে জানালে, সে বলে ওই স্থান দিনে তোমাদের, রাতে আমাদের। বেশ কিছু গাছ কেটে বিনষ্ট করে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকা।

রাকু তার প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেছে, কলেজে ভর্তির কথা বলে হিমেল কয়েকজনের নিকট থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে আত্মসাত করেছে। হিমেলসহ তার সহযোগীরা ইতঃপূর্বে রাহেলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের নিকটস্থ বিশিষ্ট ঠিকাদার হালিম মুন্সির গলায় ক্ষুরের পোচ মারে। এ বিষয়ে মামলাও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। ঈদের আগে একই এলাকার এক মিষ্টির কারখানার কর্মচারীকে মেরে মিষ্টি কেড়ে নেয়। বিদ্যালয়ের আশপাশে অবস্থান নিয়ে ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। নাসির জোয়ার্দ্দার নিজের জমিতে পাঁচিল তুলতে গেলে চাঁদাবাজির শিকার হন। পুলিশে জানিয়েও প্রতিকার মেলনি। এ ধরনের বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

রাকু বলেছে, আমরা রাজপথে আন্দোলনে সব সময় নিজেদের ও সহকর্মদের জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছি। মাননীয় হুইপ ও পৌর পিতা অবগত রয়েছেন। আমাদের বিরুদ্ধে হিমেলসহ তার সহযোগীরা বানোয়াট অভিযোগ করেছে।