মাথাভাঙ্গা মনিটর: ব্রাজিল আজ মঙ্গলবার ‘এ’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলয় ওঠার লক্ষ্যে ফোরতালেজায়মেক্সিকোর মোকাবেলায় মাঠে নামছে। দুটি দলই জানে,খেলাটিতে জিতলেই কেবলতাদের পক্ষে ২০১৪ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে খেলা সম্ভব হবে।মেক্সিকোও ব্রাজিল উভয়েই নিজেদের প্রথম খেলায় জয় পেয়েছে। ব্রাজিল গত বৃহস্পতিবারনিজ মাঠে খেলার বিশাল চাপ নিয়ে কিছু বিতর্কিত পেক্ষাপটে ক্রোয়েশিয়ারবিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জয়ী হয়। সে খেলায় জাপানি রেফারির দেয়া একটি পেনাল্টিথেকে ব্রাজিলের পক্ষে যাওয়া গোল এবং ক্রোয়েশিয়ার একটি গোল বাতিল নিয়েবিতর্ক ওঠে।অপরদিকে মেক্সিকো গত শুক্রবার ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে১-০ গোলে জয়ী হলেও তাতে রেফারি তাদের জিওভান্নি ডস সান্টোসের গোটা দুগোল অফসাইডের অজুহাতে বিতর্কিতভাবে বাতিল করে দেন।
স্বাগতিকব্রাজিল গ্রুপের শেষ খেলায় ক্যামেরুনের মোকাবেলা করবে। তার আগে আজমেক্সিকোকে হারাতে পারলে ভালো অবস্থায় থাকবে। সে তুলনায় মেক্সিকোর কাজটিকঠিন। কেননা গ্রুপের শেষ খেলায় তাদের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। তারপরও টানাষষ্ঠবারের বিশ্বকাপে খেলা দলটি দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার জন্য যে প্রাণপণ লড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, দু দেশেরমধ্যে এ যাবত অনুষ্ঠিত ৩৮ খেলার মধ্যে ২২টিতে জিতেছে ব্রাজিল। মেক্সিকোজিতেছে ১০টি। ছয়টি খেলা শেষ হয় ড্রয়ে।ব্রাজিলীয়রা আশাবাদী,ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে খেলাটিতে রক্ষণভাগের যেসব ত্রুটি ধরা পড়েছিলো,সেগুলো কাটিয়ে উঠে এদিন সেলেচাওরা দাপুটে নৈপুণ্য দেখাবে। ক্রোটদেরবিরুদ্ধে খেলাটিতে ব্রাজিল লেফট ব্যাক মার্সেলো তো নিজেদের জালেই বলপাঠিয়েছিলেন!
এখন ব্রাজিল কোচ লুই ফিলিপ স্কোলারি দুশ্চিন্তায়আছেন,হাল্কের ইনুজরি নিয়ে। রোববার তাকে অনুশীলন থেকে খোঁড়াতে খোঁড়াতেবেরিয়ে আসতে দেখা গেছে।আশা করা যায়, এবারের বিশ্বকাপের উদ্ধোধনীখেলাতেই দু গোল পাওয়া নেইমার এ খেলাতেও তার নৈপুণ্য অব্যাহত রাখবেন।ব্যাপারটায় ওয়াকিবহাল আছেন চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বেখেলতে আসা মেক্সিকো অধিনায়ক রাফায়েল মার্কোয়েজও। তিনি ইতোমধ্যে সতীর্থদেরসতর্ক করে দিয়েছেন বার্সেলোনা স্ট্রাইকারটির ব্যাপারে। পাশাপাশি নিজেদেরফরোয়ার্ডদের উপরও আস্থা রাখছে। কেননা ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ডস সান্টোসঅনেক আগ্রাসী ছিলেন।কোচ হেরেরার মেক্সিকো দলে কোন ইনজুরিসমস্যা নেই। বরং তাদের অনুপ্রাণিত করছে ২০১২ সালের অলিম্পিকে লন্ডনেরওয়েম্বলিতে নেইমারদের ২-১ গোলে হারিয়ে সোনা জয়ের ঘটনা। দুটি গোলইকরেছিলেন পেরালটা।