বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের নেহালপুর গ্রামের হাজি হারুন অর রশিদ রাতের আঁধারে প্রথম স্ত্রীকে হেঁসো নিয়ে খোঁজাখুজি করলেও সন্ধান মেলাতে পারেননি। পুলিশ খবর পেয়ে হারুনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে অবশেষে তা সফল হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত হারুনকে আজ মঙ্গলবার সোপর্দ করা হবে আদালতে।
অভিযোগে জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের নেহালপুর পশ্চিমপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে হাজি হারুন অর রশিদ দীর্ঘ ৫ বছর সৌদিতে ছিলেন। ঘরে প্রথম স্ত্রী ৫ সন্তানের জননী রোজিনাকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করে দীননাথপুর গ্রামে ভগ্নিপতির বাড়িতে ওঠেন। অভিযোগ রয়েছে রোজিনার তৃতীয় সন্তান ভূমিষ্ট হবার পর থেকে তার ওপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এমনকি নিজ পিতাকে জড়িয়ে কুৎসারটাতে দ্বিধা করেনি হারুন। এরই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাতে হারুন হেঁসো নিয়ে প্রথম স্ত্রী রোজিনাকে নিজ গ্রামে খুঁজতে থাকে। ঘটনা দেখে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। হিজলগাড়ি ক্যাম্পপুলিশ হারুনকে গ্রেফতারে শুরুকরে অভিযান। পুলিশি উপস্থিতি টের পেয়ে হারুন দেয় গা ঢাকা। অবশেষে গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে গ্রামের প্রধান সড়কের ওপর থেকে তাকে গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করলে স্ত্রী রোজিনা তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত হারুনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।