মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরমেন্স দেখিয়েছিলো। তবে সফরকারী ব্যাটসম্যান ইউনুস খানের দ্বিশতকে পাহাড়সম লক্ষ্যে উঠতে গিয়ে বারবার হোঁচট খেয়েছে তারা। বিশেষ করে পাকিস্তানি স্পিনারদ্বয় আব্দুর রেহমান ও সাঈদ আজমলের ঘূর্ণিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ৩৪২ রানে জয়ের লক্ষ্যে নেমে মাত্র ১২০ রানে গুটিয়ে যায় হ্যামিল্টন মাসাকাদজা বাহিনী। আর দু ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২২১ রানে জিতে শুরু করলো পাকিস্তান। ইউনুসের ২০০ হার না মানা ডাবল সেঞ্চুরিতে চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। নেমে দলীয় ১৩ রানে আজমলের কাছে প্রথম উইকেটটি হারায় জিম্বাবুয়ে। একই সাথে দিনের সমাপ্তিও ঘোষণা করেন আম্পায়াররা। ফুরফুরে মেজাজে শনিবার নতুন দিন শুরু করেছিলো দু দলই। শেষ হাসি হেসেছে সফরকারীরা। প্রথম সেশনের শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। এদিন স্কোরবোর্ডে আরও ৬ রান যোগ করতে জুনাইদের শিকার হন অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ভুসি সিবান্দা। দলীয় ১৯ রানে তিন উইকেট হারালে দ্বিতীয় সেরা জুটি গড়েন ম্যালকম ওয়েলার ও সিকান্দার রাজা। প্রথম ইনিংসে তাদের জুটিতেই লিড নিয়েছিলো স্বাগতিকরা। কিন্তু এদিন ব্যর্থ হলেন দু জনেই। মাত্র ৩০ রান যোগ হতে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন রেহমান। সিকান্দার আউট হন ২৪ রানে।
ইনিংস সেরা ৩১ রানের জুটি গড়েন এল্টন চিগুম্বুরা ও ওয়েলার। ২৮ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসে রেহমানের শিকার চিগুম্বুরা। ১৭ রানে ওয়েলারকেও সাজঘরে পাঠান এই বাহাতি স্পিনার। আজমল এক ওভারেই প্রসপার উতসেয়া ও শিঙ্গি মাসাকাদজাকে শূন্য রানে ফেরান। শেষ জুটিটি মাত্র ১৯ রান যোগ করতে পারে। ১৩ রানে তেন্দাই চাতারাকে সাজঘরে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দেন আজমল। রেহমান ও আজমল চারটি করে উইকেট দখলে নেন। দুটি পেয়েছেন জুনাইদ। দু ইনিংসে ২০ উইকেটের ১১টিই পেয়েছেন আজমল। ম্যাচসেরা হয়েছেন ইউনুস।