দর্শনা পরাণপুর বেলে মাঠপাড়ায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

ভানের ঝুকিতে আবাদি জমি ও বসতবাড়ি

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা পরাণপুর বেলে মাঠপাড়ায় দীর্ঘদিন অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। বালি উত্তোলন করায় বড় বড় পুকুর সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে ভাঙন। এখনও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আবাদি জমি, বসতবাড়ি ও প্রধান সড়ক। বালি উত্তোলনকারীচক্রের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, দর্শনা পৌর এলাকার পরাণপুর বেলে মাঠপাড়ায় বেশ কয়েক বছরের ব্যবধানে অসংখ্য বাড়ি-ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পরিণত হয়েছে জনবহুল মহল্লায়। এদিকে মহল্লা গড়ে ওঠার পাশপাশি পুরোদমে আইনকানুন তোয়াক্কা না করে অর্থলোভী এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি অবৈধভাবে ওই মাঠে অবাধে শুরু করে বালি উত্তোলন। বালি উত্তোলনকারীরা অপরিকল্পিতভাবে গর্ত করায় এখন সেগুলো বড় বড় পুকুরে পরিণত হয়েছে। ফলে বেলে মাঠের পরিবর্তে পরিণত হয়েছে পুকুরের মাঠে। ওই মাঠে ৭/৮টি বড় বড় পুকুর করা হলেও পুকুরে পানি জমে না, মাছচাষ হয় না। শুধুমাত্র বালি উত্তোলনের কারণেই পুকুরগুলো সৃষ্টি হয়েছে। পরাণপুরের আসান, ইস্রাফিল, শাহজুল, মহাসিন, ইসমাইল ও লাল্টুসহ বেশ কয়েকজন বালি উত্তোলনচক্রের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। অবৈধ উপায়ে নিজেরা অর্থ উপার্জন করলেও ব্যপকভাবে ক্ষতি হয়েছে পুকুর ঘেষা আবাদি জমি ও বসতবাড়িসহ দর্শনা রেলগেট-পরাণপুর প্রধান সড়কটি। ক্ষতিগ্রস্তরা বারবার বালি উত্তোলনকারীচক্রকে বারণ করলেও ক্ষমতার দাপট ও প্রভাব খাটিয়ে নির্বিঘ্নে উত্তোলন করেছে বালি। বেলে মাঠপাড়ায় বালির বড় বড় স্তূপ দেখে মনে হয় মরুভূমি এলাকার বিধ্বস্ত একটি মাঠ।

এদিকে বালি উত্তোলনকারী ওই চক্রটিকে ধরতে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদ হোসেন বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েছেন। চক্রটি আগেভাগেই অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে বালি উত্তোলনের যন্ত্রাংশ নিয়ে সটকে পড়ে। মাসখানেক থেকে ওই পুকুরগুলোতে বালি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও উত্তোলনকৃত বালি বিক্রি বন্ধ হয়নি। এদিকে পুকুরগুলোতে ব্যাপকভাবে ভাঙন ধরেছে। এতে বেশ কয়েক বিঘা জমি ভাঙনের কবলে পড়লেও ঝুঁকির মুখে রয়েছে আরও আবাদি জমি, বসতবাড়ি ও প্রধান সড়কটি। সচেতনমহল অভিমত ব্যক্ত করে বলেছে, এ ক্ষতির জন্য দায়ী বালি উত্তোলনকারীরাই। তাই ক্ষতিপূরণ তাদের দেয়া উচিত। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে ভুক্তভোগী ও সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।