হিজলগাড়িতে ৩ কনস্টেবলের কাণ্ড :দরজা ভেঙে ভুষিমাল ব্যবসায়ী মিন্টুকে আটক :জনরোষের মুখে ছেড়েদিয়ে রক্ষা

 

 

স্টাফরিপোর্টার: কোনো কারণ ছাড়াই শাদা পোশাকে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ৩ কনস্টেবল অফিসার পরিচয় দিয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে হিজলগাড়ি বাজারের ভুষিমাল ব্যবসায়ী মিন্টুকে ফাঁড়িতে নেয়ার সময় জনরোষের মুখে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে ৩ কনস্টেবেল। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে বইছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। সালিস বৈঠকে ৩ কনস্টেবল ক্ষমা চাইলেও মানতে নারাজ মিন্টু। প্রস্তুতি চলছে গণস্বাক্ষরসহ অভিযোগ দাখিলের।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হিজলগাড়ি বাজারের ভুষিমাল ব্যবসায়ী সুন্নত আলীর ছেলে মিন্টু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গতকাল সোমবার ভোর ৪টার দিকে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের কনস্টেবল রোকন ফিরোজ এবং অজ্ঞাত একজনকে সাথে করে শাদা পোশাকে আমার হিজলগাড়ি বাজারের বাসার সামনে গিয়ে আমাকে ডাক দেন। এসময় আমি ঘরের দরজা খুলে বাইরে এসে তাদের পরিচয় জানতে চাই। কনস্টেবল রোকন নিজেকে এএসআই পরিচয় দিয়ে আমাকে ফাঁড়িতে যেতে বলে। আমি সকালে যাওয়ার জন্য বলে ঘরের দরজা দিয়ে দেয়। এসময় তারা আমার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে করে আটক করে। পরে ক্যাম্পের দিকে নেয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে এবং নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চায়। একপর্যায়ে জনরোষের মুখে পড়লে কনস্টেবল তিনজন আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। কনস্টেবলরা ভোররাতে শাদা পোশাকে বাইরে গেলেও হিজলগাড়ি ফাঁড়ি ইনচার্জ বিষয়টি জানেন না বলে জানান।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বিকেলে মিন্টুর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে বসে সালিস বৈঠক। বৈঠকে অভিযুক্তরা তারা তাদের দোষ স্বীকার করে মিন্টুর নিকট ক্ষমা চেলেও বিষয়টি গণস্বাক্ষরসহ আজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জমসম্মুখে জানান মিন্টু।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা ডিউটি না থকলে প্রায় সময় শাদা পোশাকে গ্রামের মধ্যে বেড়িয়ে বেড়ায়। ফলে অনেক সময় পুলিশ না বাইরের লোক বোঝা মুশকিল হয়ে পড়ে। এ বিষয়ে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ এএসআই মুহিতুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।