স্টাফ রিপোর্টার: আজ সোমবাররাতে পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে। মুসলমানদের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী, ২৬রজব দিবাগত রাতে ঊর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করে মহানবী হয়রত মোহাম্মদ (স.) আল্লাহতায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেছিলেন। ২৬ রজব মহানবী রফরফে চড়ে আল্লাহর দরবারেহাজির হয়েছিলেন। মুসলমানদের কাছে এজন্য পবিত্র শবে মেরাজ অত্যন্ততাৎপর্যপূর্ণ।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬তারিখের দিবাগত পবিত্র এ রাতে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) মহান আল্লাহরখাস রহমতে প্রথমে কাবা শরীফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বামসজিদুল আকসায় গমন করেন। সেখানে নবীদের জামায়াতে ইমামতি করে তিনি বোরাকনামের বাহনে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন এবং সিদরাতুল মুনতাহায় উপস্থিত হন। ওইপর্যন্ত তার সফরসঙ্গী ছিলেন আল্লাহর ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.)।
এরপরসেখান থেকে তিনি ৭০ হাজার নূরের পর্দা পেরিয়ে আরশে আজিমে আল্লাহর দিদার (সাক্ষৎ) লাভ করেন। সেখান থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ উম্মতের জন্যআল্লাহর পক্ষ থেকে উপহার নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসেন। মেরাজকালে মহানবী (সা.)সৃষ্টিজগতের সবকিছুর রহস্য স্বচক্ষে দেখেন।
শবেমেরাজ মুসলমানদের কাছেতাই বিশেষ মর্যাদার। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা নফল ইবাদত বন্দেগির মধ্যদিয়ে এমূল্যবান রাত অতিবাহিত করেন। অনেকে নফল রোজাও রাখেন এদিন। তবে কোনো কোনোইসলামী চিন্তাবিদদের মতে, মহানবীর (স.) মেরাজ দৈহিক নয়, বরং ছিলো আত্মিকআরোহণ।