মহাসিন আলী/শেখ শফি: মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের পদ্মবিলে হাঁস পালন করে সাফল্যের মুখ দেখেছেন ওই গ্রামের চার যুবক। বিলে একদিকে চলছে মাছচাষ। অন্যদিকে চলছে হাঁস পালন। হাঁসের মল খেয়ে মোটা হচ্ছে মাছ। সারা বছর বিলে পানি থাকে বিধায় হাঁস পালনের সুযোগটা সহজে কাজে লাগিয়েছেন চার যুবক।
সরেজমিনে মুজিবনগর উপজেলার তারানগর পদ্মবিলে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল বড় একপাল হাঁস চরছে বিলের পানিতে। স্বাধীনভাবে বিলের পানিতে ঘুরছে ফিরছে খেলছে তারা। সন্ধ্যার প্রায় একঘণ্টা আগে হাঁসগুলো সুন্দর-সুশৃঙ্খল সারিবদ্ধভাবে ডাঙায় উঠে বিলপাড়ে তাদের থাকার ঘরের দিকে গেলো। বেড়া ঘেরা জায়গায় তাদের খাবার দেয়া হলো। তারা সাধ্যমত খাবার খেয়ে ঘরে উঠলো।
কথা হয় হাঁসপালনকারী সিজির আলমের সাথে। তিনি বললেন, তিনিসহ একই গ্রামের যুবক আমীর হোসেন, শাহাজান আলী ও মোনাজাত আলী প্রায় ২ বছর থেকে হাঁসপালন করছেন। হাতের কাছে পদ্মবিলে হাঁসপালনের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তাই তারা এসুযোগ কাজে লাগাতে হাঁস পালনের পরিকল্পনা নেন। সে মোতাবেক তারা প্রথমে মোট এক হাজার তিনশ’টি হাঁসের বাচ্চা সংগ্রহ করেন। প্রতিটি বাচ্চা তাদের ৩৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছিলো। ওই হাঁসের দলে প্রয়োজন মতো নর হাঁস রেখে বাকি নর হাঁস বিক্রি করে দেন। চারশ’ ৬০টি হাঁস বর্তমান আছে।
হাঁসগুলো প্রতিদিন তিন শতাধিক ডিম দেয়। প্রতিদিন সকালে ডিমগুলো ঘর থেকে কুড়িয়ে ডিম রাখার খাঁচিতে সাজিয়ে রাখা হয়। ওই ডিমগুলো থেকে বাচ্চা ফুঁটানোর জন্য চুয়াডাঙ্গার কুলপালার একটি হ্যাঁচারিতে বিক্রি করা হয়। প্রতিটি ডিমের দাম পান প্রায় ১০ টাকা। খাবার হিসেবে প্রতিদিন হাঁসগুলোর জন্য প্রায় এক হাজার দুশ’ টাকার লেয়ার ফিড কিনতে হয়। এরপরও প্রতিদিন তাদের লাভ থাকে ১৬শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা।তারা আরো জানান, হাঁসপালন একটি লাভজনক ব্যবসা। পানিতে চরারমত ব্যবস্থা থাকলে সেখানে হাঁসপালন করা যায়। অল্প পুঁজি নিয়ে হাঁসপালনে নামা যায়।