চুয়াডাঙ্গায় কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দশমী গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), গাজীপুরের ফলিত গবেষণা বিভাগ কর্তৃক মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ব্রি-ধান ৫০ ও ব্রি-ধান ৫৮’র বীজ উৎপাদন ও সম্প্রসারণ কর্মসূচির ওপর কৃষক সমাবেশ ও মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কৃষক সমাবেশ ও মাঠদিবসে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকতা সুফি মো. রফিকুজ্জামান।

দশমী গ্রামের কৃষক আবু বাক্কার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রি’র ফলিত গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার, বৈজ্ঞানিক সহকারী জহুরুল হক শামীম, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা তারিক-উজ-জামান ও সাংবাদিক শাহ আলম সনি।

দশমী গ্রামে জমিতে আবাদকৃত ২ বিঘা ব্রি-ধান ৫০ ও নতুন জাতের ২ বিঘা ব্রি-ধান ৫৮’র বীজ উৎপাদন মাঠ পরিদর্শন করা হয়। ব্রি-ধান ৫০ ও ব্রি-ধান ৫৮’র মাঠ দেখে কৃষকগণ এ ধান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উৎপাদনকৃত সকল ধানবীজ হিসেবে সংরক্ষণ করে কৃষকদের মাঝে বীজ বিনিময়ের মাধ্যমে এ জাতের আবাদ সম্প্রসারণ করা হবে।

মাঠদিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে গবেষণা কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত ব্রি’র ফলিত গবেষণা বিভাগের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, ব্রি কর্তৃক সম্প্রতি আবিষ্কৃত ব্রি-ধান ৫৮ ও ব্রি-ধান ৫০ বোরো মরসুমে অত্যন্ত সম্ভবনাময় জাত। এ জাত দুটোর আবাদ বৃদ্ধি করে এদেশকে খাদ্যে উদ্বৃত্ত করে বিদেশেও চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে। এ জাত দুটোর ফলন বিশেষ করে ব্রি-ধান ৫৮ এর ফলন জনপ্রিয় জাত ব্রি-ধান ২৮’র চেয়ে বিঘাপ্রতি গড়ে প্রায় ৫ মণ বেশি, গড় জীবনকাল ১৫৫ দিন যা ব্রি-ধান ২৮’র চেয়ে মাত্র এক সপ্তা বেশি।

প্রধান অতিথি সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এ জাত দুটো দেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকে আরও টেকসই করবে। তিনি সার্বিকভাবে ব্রি’র বিশেষ করে ব্রি কার্যক্রম বাড়ানোসহ ব্রি নিজস্ব ফার্ম সৃষ্টি করে এ অঞ্চলে গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।