জীবননগর ব্যুরো: নববিবাহিত শুকুর আলী (২২) ওরফে সনু মিনাজপুর গ্রাম থেকে শ্বশুরবাড়ি জীবননগর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ায় বেড়াতে গিয়েছিলো গত শুক্রবার। চারদিন শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করার পর সোমবার বিকেলে সে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতে পারে সে বাড়ি চলে গেছে। অপরদিকে তার মা মনে করেন সনু শ্বশুরবাড়িতেই আছে। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গা রেলক্রসিঙের নিকটবর্তী ১৩১ মাইল মিটার ডাউন লাইনের ওপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ। এ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে উভয় পরিবারে। নববিবাহিত শুকুর আলী কী কারণে অভিমানী হয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলো না কি তার মৃত্যুর ঘটনার আড়ালে কোনো রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর বানপুরপাড়ার মৃত মনির উদ্দিন ওরফে মনু মণ্ডলের ছেলে শুকুর আলী ওরফে সনু ৫ মাস আগে জীবননগর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার আব্দুস সালামের মেয়ে রুমির সাথে বিয়ে করে। স্ত্রী রুমি তার পিত্রালয়ে অবস্থান করছে। গত শুক্রবার সনু তার শ্বশুরবাড়িতে আসে। এখানে ৪দিন অবস্থান করার পর স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিনক্ষণ ঠিক করে সোমবার বিকেলে সে বিদায় নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। এর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন মনে করছিলো সনু বাড়িতে চলে গেছে, অপরদিকে সনুর বাড়ির লোকজন মনে ভাবছিলো সে শ্বশুরবাড়িতেই আছে। এ অবস্থার মধ্যে গতকাল বুধবার সকালে চুয়াডাঙ্গার রেলপাড়া রেললাইনের ধার থেকে জিআরপি পুলিশ তার ধড়-মাথা বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করে। পকেটে থাকা মোবাইলফোন ব্যবহার করে পুলিশ তার বাড়িতে খবর দিলে উভয় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ বাড়িতে এনে দাফন করা হয় বলে খবর পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে জিআপি ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই হামিদ জানান, এলাকাবাসী লাশ দেখে আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করি। লাশের ধড়-মাথা বিচ্ছিন্ন ছিলো। তার কপাল ও মাথা কাটা ছিলো। তার পরিবার থেকে বলা হয়েছে আত্মহত্যা করেছে এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে লাশ দাফনের অনুমতি নেয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।