মনিপুর স্কুলের ১৬ শিক্ষক বরখাস্ত
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষককে বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভায় ওই শিক্ষকদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, নিয়মের বাইরে গিয়ে কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বরখাস্ত করেছে। তবে বরখাস্ত করার মতো কোনো উপযুক্ত কারণই দেখাতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা হলেন- আব্দুর রহমান, আবুল হোসেন সাখাওয়াতী, মো. শহিদুল্লাহ, বজলুর রহমান, লিয়াকত আলী, মাওলানা রকিবুল হাসান, নুরুল হুদা, বাদশা রমিজউদ্দীন, কামারুজ্জামান, মালেক মাহমুদ, মফিজুর রহমান, আনিসুর রহমান, নাফিসউল্লাহ, মাওলানা আব্দুল মান্নান, জাকির হোসেন। মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কমিটির সভাপতি ঢাকার সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার। এর আগেও তিনি প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভর্তিতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে সাংবাদিককে মারধর করেন। এদিকে শনিবার ১৬ শিক্ষক বরখাস্ত করার পর স্কুলের শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, দীর্ঘ দিনের অর্জিত সুনাম হারাতে বসেছে রাজধানীর এক সময়ের নামকরা এই প্রতিষ্ঠানটি। এবার এসএসসি পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থীই জিপিএ-৫ পায়নি। এখন একসাথে ১৬ জন শিক্ষককে বহিষ্কারের ফলে স্কুলের শিক্ষার মান অনেক নীচে নেমে যাবে। এ ব্যাপারে এমপি কামাল মজুমদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বরখাস্ত করা শিক্ষকদের সবাই জামায়াতের সাথে জড়িত। রাজনৈতিক কারনে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি বলে তিনি জানান।
দু সপ্তার ব্যবধানে আবার বাড়লো সোনার দাম
স্টাফ রিপোর্টার: আবারো বাড়ানো হলো সোনার দাম। দু সপ্তার ব্যবধানে এ নিয়ে দু দফা দাম বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) শনিবার এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবর্তিত হার অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের সোনার ভরিপ্রতি দর এখন ৫০ হাজার ৭৩৮ টাকা। প্রথমবার আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাত দেখালেও এবার মূল্য বৃদ্ধির কোনো কারণ ব্যাখ্যা করেনি জুয়েলার্স সমিতি। নতুন দরে ২১ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৬৪ টাকা। ১৮ ক্যারেটের দাম ৪১ হাজার ২০০ টাকা এবং সনাতনি সোনার দাম ২৯ হাজার ১৬০ টাকা। রুপার দামও নতুন করে নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০০ টাকা। রোববার থেকেই নতুন দর কার্যকর হবে। এর আগে গত ২ আগস্ট এ মানের সোনার দাম বাড়িয়ে ৪৯ হাজার ৫৭২ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছিল।
বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে জামায়াতকর্মী নিহত
স্টাফ রিপোর্টার: নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে বাড়িতে বসে বোমা বানানোর সময় বিস্ফোরণে ইসমাইল হোসেন (২৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের শাহজাদপুর গ্রামে গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইসমাইল কোম্পানিগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের আলী আহম্মদের ছেলে। তিনি স্থানীয় জামায়াতের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার রাত ১২টার দিকে শাহজাদপুর গ্রামের এনু মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বানানোর সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। কোম্পানিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, বিস্ফোরণের খবর শুনে তিনি রাতেই ঘটনাস্থলে যান। বাড়িতে কাউকে না পেয়ে আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে আহত অবস্থায় পুলিশ ইসমাইলকে আটক করে। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ওসি জানান, প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত ইসমাইল হোসেন স্থানীয়ভাবে জামায়াতের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনি জামায়াত-পরিচালিত একটি ক্যাডেট মাদরাসায় চাকরি করতেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রক্তমাখা কিছু কাপড় ও বোমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত পাথরের গুঁড়ো উদ্ধার করে।