গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার জুগিরগোফা গ্রামে বিস্ফোরণে তোতা মিয়া (২২) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। গত শনিবার বিকেলে ওই গ্রামে অবস্থিত ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে এ ঘটনা ঘটে। তোতাকে গোপনে কুষ্টিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিত্সা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মনে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, জুগিরগোফা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে তোতা মিয়া স্ক্যাবেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) টিমের সাথে কাজের সুবাদে বেশিরভাগ সময় গ্রামের বাইরে থাকেন। চার দিন আগে বাড়ি ফেরেন তোতা। শনিবার বিকেলে ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে বিস্ফোরণে তার হাতের কবজি উড়ে যায়। বাড়ির লোকজন টের পেয়ে দ্রত তাকে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসার উদ্দেশে নিয়ে যায়। বোমা তৈরি করতে গিয়ে বিস্ফোরণ নাকি বোমা রাখতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা নিয়ে এলাকার চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জন্ম দিয়েছে নানা প্রশ্নের।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আলম জানিয়েছেন, তোতাকে আটকের অভিযানের পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সচিব একজনকে নৈশপ্রহরী হিসেবে নিয়োজিত করেন। ওই নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে রাতে ইউপি ভবনে নারী সংশ্লিষ্ট অভিযোগ আছে। বোমা রাখা ও নারী সংশ্লিষ্ট ঘটনা একই সুতোয় গাঁথা বলে জানান তিনি। তবে তোতা গ্রেফতার হলেই সব রহস্যের জট খুলবে বলে জানান ওসি মাছুদুল আলম।