স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের সব কিছুই ছিলো ঠিক-ঠাক। আলমডাঙ্গার রায়সা গ্রামের ৪০ জন বরযাত্রী বর নিয়ে কনের বাড়ি হরিণাকুণ্ডুর শুড়া গ্রামে হাজির হন। বিয়ের গয়নাগাতি নিয়ে আপত্তি ওঠার এক পর্যায়ে ভেস্তে গেছে বিয়ে। বর শরিফুল ইসলামকে ফিরতে হয় স্ত্রী ছাড়াই। অপরদিকে বিয়ের সব আয়োজন করার পরও কনে অঞ্জনা খাতুনের বিয়ে না হওয়ায় সেখানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে। তারা বর ও বরপক্ষের লোকজনকে কটাক্ষও করে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নের রায়সা বেলে শিশিরপাড়ার হাবিবুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলামের সাথে পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর শুড়া গ্রামের রজব আলীর মেয়ে অঞ্জনার সাথে বিয়ে ঠিক হয়। উভয়পক্ষ আলোচনা করে বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে। সে হিসেবে গতকাল শুক্রবার কনের বাড়িতে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিলো। বর শরিফুলকে সাথে নিয়ে ৪০ জন বরযাত্রী কনের বাড়িতে হাজির হয়। প্রথা অনুযায়ী বিয়ের আগেই আসরে গয়নাগাটি শাড়ি কপড়ের ব্রিফকেস কনে পক্ষের হাতে তুলে দেয়া হয়। কনে পক্ষ গয়নাগাতি নিয়ে আপত্তি তোলেন। এক পার্যায়ে বিয়ে ভেস্তে যায়। বরসহ বরযাত্রীকে ফিরতে হয় বধূ ছাড়াই। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিয়ে ভেস্তে যাওয়া পর ছেলে পক্ষ অবশ্য বলেছে, ওই মেয়ের সাথে প্রবাসী এক ছেলের সম্পর্ক থাকার বিষয়টি জানার কারণেই বিয়ে না করে ফিরে এসেছি। কন্যা পক্ষ বলেছে, ওরকম ছোটলোকদের সাথে সম্পর্ক করতে চাইনি আমরা।